তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইমরান খানের
পার্লামেন্টে উঠেছে অনাস্থা প্রস্তাব। প্রস্তুত বিরোধীরা। প্রস্তুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মহারণে কে জিতবে, কে হারবে তা বলা কঠিন। এ অবস্থায় যারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইমরান খান। তিনিও জনসমর্থন প্রদর্শনের জন্য বিশাল জনসমাবেশ আহবান করেছেন। সেখানে নিজে দলীয় নেতাকর্মীদের ঢল নামানোর আহবান জানিয়েছেন। শুক্রবার বলেছেন, যেসব সাকে শাসক ঘুষ নিয়েছেন, ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন এবং এসব বিষয়ে মামলায় লড়ছেন, তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হবে বিশ্বাসঘাতকতা।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও অন্যদের দুর্নীতির মামলার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এ কথা বলেছেন। ইমরান খান বলেন, তারা (বিরোধীরা) আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে, যাতে আমি তাদের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নিই। কিন্তু যদি আমি তাদেরকে একেবারে মুক্তি দিয়ে দিই এসব অভিযোগ থেকে, যেটা সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ করেছিলেন, তাহলে তাতে রাষ্ট্রদ্রোহিতা হবে। মানশেহরায় থাকরা স্টেডিয়ামে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন ইমরান।
নিজের দল পিটিআইয়ের যেসব পার্লামেন্ট সদস্য প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের রাজধানীতে যে হর্স-ট্রের্ডিং বা দলবদলের কেনাবেচা চলছে তা ২৫ কোটি রুপিতে উঠেছে। আমার চরিত্র হননের জন্য প্রতিজন পার্লামেন্ট সদস্যকে আরও বেশি অর্থ প্রস্তাব করা হয়েছে।
কিন্তু সালাহ মোহাম্মদ খানের মতো অনুগত পার্লামেন্ট সদস্যদের আনুগত্যের ব্যাখ্যা করার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমি নিশ্চিত তিনি আমার বিরুদ্ধে যাওয়ার কথা কখনো চিন্তাও করবেন না, যদি তাকে ৫০ কোটি রুপি দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়- তাও না।
এদিন কমপক্ষে ৪০ মিনিট বক্তব্য রাখেন ইমরান খান। বেশির ভাগ সময় তার সরকারের পারফর্মেন্স, মেগা প্রকল্প এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্জন নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি মাওলানা ফজলুর রেহমান, শাহবাজ শরীফ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির প্রসঙ্গ টেনে ইমরান বলেন, তিনজন কাপুরুষ আমাকে অভিশাপ দিচ্ছেন এবং ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমি পরিষ্কার করতে চাই যে, তারা কখনো এই অসৎ মিশনে সফল হবেন না। তিনি পূর্বাভাষ দেন পাকিস্তানের রাজনীতিতে নওয়াজ শরীফ পরিবারের ভূমিকা শেষ হয়ে গেছে। তারা এখন তাদেরকে শুধু ‘বৃটিশ রাজনীতি’তে যুক্ত করছে। তার ভাষায়- যদি এই পরিবারটি বৃটিশ রাজনীতি করে দেশে, তাহলে দেশ ঋণখেলাপি হবে তাদের দুর্নীতির কারণে। আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে শিগগিরই তাদের কর্মকাণ্ড চালাতে ঋণ চাইবে।