পুতিন-প্রেমিকাকে সুইজারল্যান্ড থেকে বহিষ্কারের দাবি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রেমিকা হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত জিমন্যাস্ট কাবায়েভা। ইউক্রেনে পুতিনের যুদ্ধ শুরুর পর পরই তিনি পাড়ি জমিয়েছেন সুইজারল্যান্ডে। সেখানে একটি ভবনে থাকছেন তিনি। এ খবর জানাজানি হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।
খবরটি চাউর হতেই তাকে সুইজারল্যান্ড থেকে বহিষ্কারের দাবি করছেন অনেকে। তাকে ফের রাশিয়ায় পাঠিয়ে দিতে অনলাইনে পিটিশন করা হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন কমপক্ষে ৬৩ হাজার মানুষ।
ধারণা করা হয়, শক্তিধর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বান্ধবী কাবায়েভা। পুতিনের চারটি সন্তানের মা-ও তিনি। কিন্তু কাবায়েভাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেননি পুতিন।
তবে রাশিয়া, বেলারুস ও ইউক্রেনের নাগরিকরা তাকে সুইজারল্যান্ড থেকে বের করে দেয়ার জন্য অনলাইনে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে পিটিশন করেছেন। এতে কাবায়েভাকে ‘যুদ্ধাপরাধী ও মতিভ্রমগ্রস্ত’ পুতিনের প্রিয় স্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ওই আবেদনে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে যুদ্ধ সত্ত্বেও সুইজারল্যান্ড পুতিন শাসকগোষ্ঠীর একজনকে আশ্রয় দিয়েছে।’
পিটিশনে বলা হয়েছে, আমরা রাশিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনের নাগরিকরা বর্তমানে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। আমরা সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে ঐক্যবদ্ধভাবে আবেদন করছি। আমাদের আবেদন চেঞ্জ ডট ওআরজি’তে জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও ইংলিশ ভাষায় পোস্ট করা হয়েছে। কাবায়েভা হলেন যুদ্ধাপরাধী পুতিনের স্ত্রী। এতে প্রশ্ন করা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও কেন পুতিনের স্ত্রীকে ঠাঁই দিচ্ছে সুইজারল্যান্ড। এতে আরো বলা হয়েছে, ‘ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সুইজারল্যান্ড নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করল।’
উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও তার শাসকগোষ্ঠীর অনেকের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞা দিলেও, কাবায়েভার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। অথচ পুতিনের কথিত গোপন পার্টনার কাবায়েভা হলেন ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান।
ক্রেমলিনপন্থি টিভি এবং সংবাদপত্র পরিচালনার এ প্রতিষ্ঠান থেকে কাবায়েভা বছরে প্রায় ৮০ লাখ পাউন্ড নিয়ে থাকেন।
পুতিন ও কাবায়েভাকে একসাথে দেখা গেছে বহু অনুষ্ঠানে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে বিরোধী নেতা জেলবন্দি অ্যালেক্সি নাভালনি গঠিত এন্টি করাপশন ফাউন্ডেশন। রাশিয়ার অনেক ধনকুবের কাবায়েভা পরিবারকে সম্পদ-অর্থসহ নানা কিছু উপহার হিসেবে দিয়েছেন।