দেশের মানুষ চড়া দামে জিনিসপত্র কিনছে, আর প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছে: রিজভী

0

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশ এক ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির চড়া দামের কারণে মানুষ খেয়ে না খেয়ে জীবনযাপন করছে। টিসিবির লম্বা লাইনে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ও স্বল্প আয়ের মানুষ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে।

তিনি বলেন, চাল-ডাল-আটা-গুঁড়ো মসলা ও শাক-সবজি আজ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বেগুন-আলু ও সবজির গায়ে হাত দিলে বৈদ্যুতিক শকড হয়। মানুষ একবেলা ও আধপেটা খেয়ে বেঁচে আছে।

গতকাল রবিবার (১৩ মার্চ) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, চৈত্রের খরতাপের মধ্যে নিম্নআয়ের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু টিসিবি সারাদেশে মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ পণ্য দিতে পারে। সারাদেশের মানুষ আজ চড়া দামে জিনিসপত্র কিনছে,  অন্যদিকে উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। কী একটা ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নের মধ্যে জীবনযাপন করছি। আজ আবারও সেই ’৭২ থেকে ’৭৪ কথা আমরা শুনছি, যখন কি না বাসন্তী-দুর্গারা শাড়ি না পেয়ে মাছ ধরার জাল দিয়ে লজ্জা নিবারণ করেছে। যারা ভাত-রুটি না পেয়ে আম গাছের পাতা কাঁঠাল গাছের পাতা চিবিয়ে খেয়েছে। এরই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে আজ বাংলার প্রান্তরে প্রান্তরে। দুর্ভিক্ষের ছায়া বিস্তার করেছে চতুর্দিকে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দুর্ভিক্ষ, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, দেশের মানুষ আধপেটা খেয়ে থাকে আর উন্নয়নের নামে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশে এখন বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দিন যাচ্ছে, রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা বসে আছেন তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই, এ কারণেই আকাশ ছোঁয়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। আওয়ামী লীগের আমলে গত ১০ বছরে বিদ্যুতের দাম ৯০ শতাংশ, গ্যাসের দাম ১৪৪ শতাংশ, ডিজেলের দাম ৮২ শতাংশ এবং পানির দাম ২৬৪ শতাংশ বাড়িয়েছে। যা পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক ও জনপ্রতিনিধিত্বমূলক দেশে হয় না।

নতুন নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, এ নির্বাচন কমিশনকে আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা মনে করি অবৈধ সরকার অবৈধ আইনের মাধ্যমে এ কমিশন গঠন করেছে। সুতরাং পরবর্তী পর্যায়ে কী হবে সেটা আমাদের দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলে জানতে পারবেন।

তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী দুদিন আগে বলেছেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বিএনপির অন্যায়-অবিচার একই বিষয়। আমি আইনমন্ত্রীকে বলছি, আপনি আপনার প্রধানমন্ত্রীকে বলুন- তত্ত্বাবধায়ক সরকার কী এবং কত প্রকার? এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন করতে গিয়ে মানুষ পুড়িয়েছেন, ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন, এ তত্ত্বাবধায়কের জন্য তিনি কী পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com