সরকারের অমানবিক আচরণ শুধু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে না, প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে: নজরুল

0
বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতি করি বলে আজকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাজ করছি। সরকারকে চিঠি দিচ্ছি, সাক্ষাৎ করছি, মিছিল করছি, অনশন করছি, মানববন্ধন করছি।
আপনারা যদি আমাদের গণতান্ত্রিক আচরণ গ্রাহ্য না করেন তাহলে যারা বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসেন তারা যে কি করবে আমরা তা জানি না। আমরা দেশে বিশৃঙ্খলা চাই না বলে আমরা তাদের অনুরোধ করছি।
সরকারকে বলি মানবিক হোন, দানবিক হবেন না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।

 

গতকাল শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর), জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স-জেটেব আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিএনপি’র জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি নির্বাচনে কোটি কোটি ভোট পায়। কিন্তু আমাদের সদস্য আছে কোটিরও কম। যারা আমাদের সংগঠনের সদস্য তারা আমাদের নিজেদের নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে আছে। যারা আমাদের শৃঙ্খলার মধ্যে নেই তাদের নিয়ন্ত্রণের সামর্থ্যও আমাদের নেই।

 

তিনি বলেন, যারা বিএনপিকে সমর্থন না করলেও বেগম খালেদা জিয়াকে সমর্থন করেন, খালেদা জিয়াকে না করলেও জিয়াউর রহমানকে সমর্থন করেন- তারা আন্দোলন সংগ্রামে আছেন। তারা তো আমাদের হুকুম শোনেন না। আল্লাহ না করুক, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হয়ে গেলে তারা যে কী করবেন তা আমরা জানি না।
পৃথিবীর কোনও দেশে চিকিৎসার জন্য আন্দোলন করতে হয় এমন কথা কখনও শুনিনি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে সুচিকিৎসার জন্য আন্দোলন করতে হয় এমন কথা কখনো শুনিনি, দেখিওনি। কোন সভ্য দেশে নাগরিকদের সুচিকিৎসার জন্য আন্দোলন করতে হয় এটা অস্বাভাবিক। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে ক্ষমতার জোরে একটি দেশকে অসভ্য দেশে পরিণত করা হচ্ছে। দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এটিকে কীভাবে স্বাভাবিক বলা যায়।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, কেউ বলে তিনি এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। তবে সেখানে টাকা ছিল দুই কোটি, আজ সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটিরও বেশি। এক পয়সাও সেখান থেকে কেউ নেয়নি। কিন্তু গত ১০ বছরে এই দেশ থকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। দেশের শেয়ারবাজার লুট করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা লুট হয়েছে। এটা কে করেছে তা বের করুন, তাদের শাস্তি দিন। তা নাহলে সবাই মনে করবে এর সঙ্গে আপনারা জড়িত। অর্থমন্ত্রী তদন্ত কমিটি গঠন করলেন। তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে অর্থমন্ত্রী বললেন- ‘এ রিপোর্ট তো প্রকাশ করতে পারবো না’। এতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ লোকজন জড়িত আছে। এরা কারা জনগণ জানতে চায়। এই পরিমাণ টাকা যদি দেশের তহবিলে থাকতো তাহলে বিদেশিদের কাছে আমাদের হাত পাততে হতো না।

 

তিনি বলেন, আজকে অমানবিক আচরণ শুধু বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে না প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে। বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ নিয়ে সম্মেলন হয়, আর আমাদের সেখানে দাওয়াত দেওয়া হয় না। তারা বিশ্বাসই করে না বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আজকে দেশের বড় বড় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এটা শুধু তাদের জন্য লজ্জাকর বিষয় না, পুরো দেশের জন্য লজ্জাজনক।
তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com