মানুষের আয় না বাড়লেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছেই
করোনাভাইরাস মহামারির অর্থনৈতিক সংকটকালেও নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে সবজি, সব কিছুর দামই উঠতি। এ অবস্থা যে শুধুমাত্র ঢাকায়, তা নয়। গ্রামেও একই চিত্র। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও মানুষের আয় বাড়ছে না। সেই সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে পরিবহন ব্যয়।
দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রবণতার ফলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও। চলতি অর্থবছর ২০২১-২২ এ সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় মূল্যস্ফীতি ওপরে অবস্থান করছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, দেশে সর্বশেষ নভেম্বর মাসে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশে হয়েছে। এটি অক্টোবর মাসেও ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ ছিল।
এদিকে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে, যা অক্টোবর মাসে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা অক্টোবর মাসে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ ছিল।
বিবিএস এর তথ্যমতে, গ্রামে নভেম্বর মাসে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক ২০ শতাংশে অবস্থান করছে। এটি অক্টোবর মাসেও ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ ছিল।
অন্যদিকে, নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ হয়েছে, যা অক্টোবর মাসে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ ছিল। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা অক্টোবর মাসে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ ছিল।
এ ছাড়া, শহরে গড় মূল্যস্ফীতি নভেম্বর মাসে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশে থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ হয়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি নভেম্বর মাসে ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, এটি অক্টোবর মাসে ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ ছিল। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি নভেম্বর মাসে ৬ দশমিক ৯৯ শতাংশে উঠেছে, যা এক মাস আগেও ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ ছিল।