জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখতেন একটা আনন্দময়, কল্যাণময় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার: ফখরুল
দেশের মানুষকে সঠিক ইতিহাস ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনেকে ভুলে যাচ্ছি অথবা ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছি এই যে একটা আবহ সৃষ্টি হয়েছে যে, অতীতের যা কিছু মহান, যা কিছুকে ভালো সব্ কিছু ভুলিয়ে দাও। আর যারা ভালো কাজ করছে, করেছে। আমাদের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে তাদের মনে করার কোনো দরকার নেই-এই ধরনের একটা আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে।”
গতকাল শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকালে জিয়া শিশু একাডেমীর শাপলাকুঁড়ির অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন,‘‘ সঠিক ইতিহাস ভুলিয়ে দেয়ার এই চেষ্টা এটা খুব কষ্টের, বেদনার। এটা কখনো কোনো জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় না। আমরা নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে চাই, আনন্দময় স্বপ্ন দেখতে চাই, আমরা আলোকিত পৃথিবী চাই, আমরা অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। যদিও আমাদের চারদিকে অন্ধকার ছেয়ে ফেলে তাতেও আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
শিশুরা একটা সুন্দর পৃথিবী নির্মাণের স্বপ্ন দেখবে এমন প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জিয়াউর রহমান ছিলেন নতুন পৃথিবী করার চিন্তায়।স্বপ্ন দেখতেন একটা আনন্দময়, কল্যাণময় সমৃদ্ধ একটা বাংলাদেশ গড়বার। তিনি শুরু করেছিলেন সেইভাবে একেকজন শিশুকে তৈরি করছিলেন শ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবার জন্য।”
তিনি বলেন, ‘‘সংকটটা বড় জটিল। জটিল হচ্ছে যে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরন হচ্ছে এই বছর, এটাকে বিজয়ের মাস বলা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের এই বিজয়ের মাসে যারা স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়ে একাত্তর সালে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, আমাদেরকে পথ দেখিয়েছিলেন, আমাদের জন্য ত্যাগ স্বাকীর করেছিলেন, আমাদের জন্য বন্দি ছিলেন তাদেরকে আমরা কেনো জানি না সেইভাবে সামনে নিয়ে আসতে পারছিনা, মনে করতে পারছি না।”
‘‘আমরা অবশ্যই স্মরণ করব আমাদের সেই মহান প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বেগম খালেদা জিয়াকে যিনি সমস্ত প্রতিকুলতাকে কাটিয়ে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন তিনি আজ অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। আজকের এই বড় দিনে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন তাকে সুস্থ করে আবার আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।”
বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘একটা দূঃখের কথা আমি জানাতে চাই। আমাদের দেশের বরেণ্য সাংবাদিক রিয়াজ ভাই(রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ) তিনি দুপুরে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি একজন প্রতিথযশা মেধাবী সম্পাদক ছিলেন।”