অস্ত্র প্রতিযোগিতা: এশিয়া পরিণত হচ্ছে ‘পাউডার কেজ’-এ

0

ক্রমশ সামরিকীকরণের হুমকিতে এশিয়া পরিণত হচ্ছে ‘পাউডার কেজ’-এ। ইংরেজিতে এ শব্দটি ব্যবহার করা হয় ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সহিংসতার ধরন বোঝাতে। যেখানে উত্তেজনা থাকে তুঙ্গে। সম্প্রতি এশিয়া অঞ্চলের পরিস্থিতি এমনই এক রূপ ধারণ করেছে বলে অনলাইন সিএনএনের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে চীনে একটি উচ্চ প্রযুক্তির জাহাজ তৈরির কথা বলা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, যখনই এই জাহাজটি সচল হবে তখন তা যুক্তরাষ্ট্রের সমান গতিতে আকাশে বিমান ছুড়তে পারবে। এশিয়া কীভাবে দ্রুততার সঙ্গে সামরিকীকরণ হচ্ছে এটা হলো তার উদাহরণ। এর মধ্য দিয়ে পুরো অঞ্চল একেবারে প্রান্তসীমায় এসে পৌঁছেছে।

কয়েক মাস হলো তাইপে এবং বেইজিংয়ের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনায় বৈশ্বিক দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। কিন্তু এই হুমকি তাইওয়ান প্রণালি থেকেও এশিয়ার অন্য স্থানগুলোতে বিস্তৃত হয়েছে। পুরো অঞ্চলে যেসব দেশ আছে, তারা নীরবতার সঙ্গে অস্ত্র প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এ পরিস্থিতিতে সতর্কতা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, একটি ভুল হিসাবে পুরো অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটা হতে পারে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ বা পুরনো শত্রুতাকে কেন্দ্র করে। চীন এবং উত্তর কোরিয়ার হুমকির জবাব দিতে পূর্ব এশিয়ায় জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া দ্রুততার সঙ্গে তাদের সামরিক সক্ষমতাকে আধুনিকায়ন করছে। গত মাসে নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ জন্য ‘বেপরোয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষা’র জন্য সিউলকে সাবধান করেছে পিয়ংইয়ং। অন্যদিকে হিমালয় পাদদেশে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ভারতের। এরপর সীমান্তে সামরিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে ভারত। এমনিতেই দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে জ্বালাময়ী উত্তেজনা আছে ভারতের। একই রকমভাবে কৌশলগত নৌ চলাচলের পথটাতে আগ্রাসীভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভিন্ন সীমান্ত আছে এমন দেশগুলো। এই লড়াইটা দক্ষিণ চীন সাগরে তীব্র। এই অঞ্চলটি এক ‘সিকিউরিটি ডিলেমা’ বা নিরাপত্তার উভয় সংকটে আছে। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিশ্লেষক ম্যালকম ডেভিস বলেছেন, এটা এমন এক এলাকা, যেখানে দেশগুলো তাদের প্রতিবেশীদের শক্তির জবাব দিতে নিজেদের সামরিক শক্তি জানান দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখানে বড় শক্তিগুলোর মধ্যে বড় এক যুদ্ধের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা প্রচণ্ড এক সংকটের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অধীনে চীন তার সামরিক শক্তি দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধি ও বিস্তার করেছে। চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি’র হাতে এখন রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌবাহিনী, প্রযুক্তিগত সুবিধা, আছে স্টিলথ যুদ্ধ বিমান। আছে ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্র। তাদের সেনাবাহিনীতে আধুনিকায়ন সবে শুরু হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com