সীমান্ত থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সরিয়ে নিচ্ছে বেলারুশ
বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে এখনও হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী অবস্থান করছেন। এবার তাদের পোল্যান্ড সীমান্তের মূল শিবির থেকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে বেলারুশ। বেলারুশের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। খবর আল-জাজিরার।
গ্রীষ্মকাল থেকে বেলারুশের সীমান্ত দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে ঢোকার চেষ্টা করছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। ইইউ’র দেশগুলো বরাবরের মতো বেলারুশকে দায়ী করছে এই অভিবাসন সংকট তৈরির জন্য। যাদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বলছে তারা। তাদের অভিযোগ বেলারুশের উসকানিতে সীমান্তে অবস্থানরতরা পোল্যান্ড ও লিথুনিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করছেন। যদিও মিনস্ক এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অস্থায়ী শিবির থেকে ফিরিয়ে নিয়ে ওয়্যারহাউজে জায়গা দেওয়া হচ্ছে, সেটিও সীমান্ত থেকে বেশি দূরে নয়।
পোলিশ সীমান্ত বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, বেলারুশের পশ্চিমাঞ্চলের শিবির পুরোপুরি খালি করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। বেলারুশের গণমাধ্যম কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
তিনি আরও জানান, অস্থায়ী শিবিরটি এখন ফাঁকা। তাদের পরিবহন সরবরাহ কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে, যেটি ব্রুজগি সীমান্তের কাছে। তিনি দাবি করেন, সেখানে আর কোনো অস্থায়ী শিবির নেই। তবে আরও অনেকে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছে। আমরা দেখছি পরবর্তী সময়ে কী ঘটে।
বেলারুশের সীমান্ত থেকে লোক সরানোর সিদ্ধান্ত এলো কূটনৈতিক জোর তৎপরতার পর। চলতি সপ্তাহে অ্যাঞ্জেলা মেরকেল সীমান্ত সংকট নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বৃহস্পতিবার তাকে তার বিরোধীদের সঙ্গে একটি সংলাপ শুরু করার আহ্বান জানান। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন এই সংকট সমাধানে।