কাবুলে তুরস্কের কূটনৈতিক কার্যক্রম চলবে: তুরস্ক
তালেবান কাবুল দখলের পর আফগানিস্তান থেকে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো নিজেদের সেনা, নাগরিক ও তাদের অনুগত আফগানদের সরিয়ে নিচ্ছে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো সৈন্যদের ফিরিয়ে নিতে জোরেশোরে কাজ করছে। ঠিক সেসময়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান কাবুলে নিজেদের দূতাবাস ও কূটনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।
এরদোয়ান বলেছেন, ‘তুরস্ক আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পুনরায় তাদের দূতাবাস চালু করবে এবং কাবুলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।’
স্থানীয় সময় রোববার (২৯ আগস্ট) মন্টিনিগ্রো থেকে দেশে ফিরে তুর্কি গণমাধ্যম এনটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এসব কথা বলেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তারা (তুর্কি কর্মকর্তা) যেকোনো দিন সিটি সেন্টারের দূতাবাসে ফিরে যাবে এবং সেখান থেকে স্বাভাবিক কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আঙ্কারা যেকোনো উপায়ে সেখানে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যেতে চায়। পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করবো।’
তালেবানের সঙ্গে বৈঠক ও সম্পর্ক বাড়ানো প্রসঙ্গে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত তালেবানের নতুন নীতির কথা শুনেছি। সেগুলো শুনে আমরা আশাবাদী। তবে তাদের কর্মকাণ্ড আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’
এদিকে, আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক কাবুলে তাদের দূতাবাস রাখা এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর কথা বললেও সেখান থেকে সব সেনা ও নাগরিকদের ফিরিয়ে এনেছে। তবে দেশটির ছোট একটি টেকনিক্যাল টিম এখনও কাবুলে অবস্থান করছে।