দেশের ইতিহাস থেকে জিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার ক্ষমতা কারো নেই: নজরুল ইসলাম খান
দেশের ইতিহাস থেকে জিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার ক্ষমতা কারো নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানবলেছেন, ‘দেশ স্বাধীনে শেখ মুজিবের কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি, সত্য অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়া।’
তিনি বলেন, ‘একজন মানুষ দায়িত্ব তখনই নেন, যখন অবস্থা সংকটপূর্ণ থাকে। জিয়াউর রহমানের দায়িত্ব নিতে হয়েছে তখনই, যখন সংকট দেখা দিয়েছে। ১৯৭১ সালে যখন তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেন, তখন দেশে কোনো সরকার ছিল না।’
বুধবার (৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁতীদল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
করোনার কারণে যারা বেকার হয়েছেন, কর্মহীন হয়েছেন বাজেটে তাদের কিছু দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
তিনি বলেন, ‘দাবি করা হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ। জাপান, সিঙ্গাপুর কোরিয়া এসব দেশ ডিজিটাল দেশ বলে দাবি করে না।এখানে ডিজিটালের কথা বলে প্রচুর টাকা কোথায় খরচ হয়ে যাচ্ছে, তা আল্লাহ জানে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগও যদি ভালো কাজ করে তার প্রশংসা হওয়া দরকার। এই যে বাজেট দিল, কেমনেতার প্রশংসা করি? অর্থনীতিবীদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, অর্থমন্ত্রী তার গাড়িতে যাত্রী উঠাতে ভুলে গেছেন। অর্থাৎ বাজেটনামক গাড়িতে গরিব মানুষ উঠাতে ভুলে গেছেন। বাজেটে যাদের জন্য ব্যবস্থা করা দরকার ছিল, সেই গরিব মানুষের কথাই ভুলেগেছেন অর্থমন্ত্রী। গতবার বাজেট ছিল পাঁচ লাখ কোটি টাকা, এবার ছয় লাখ কোটি টাকা করা হয়েছে। বাজেটের পরিমাণ বাড়লে প্রশংসা করা যায় না।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলীসপু, বিএনপির সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস আজাদ, জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান প্রমুখ।