স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিশৃঙ্খলা-অনিয়ম-দুর্নীতি ও দুর্বলতা রয়েছে: সিপিডি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও দুর্বলতা রয়েছে। কাঠামোগত সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা না বাড়িয়ে বরাদ্দ বাড়ালে কোনো লাভ হবে না। বরং বরাদ্দ দেয়া অর্থের কিছুটা অপচয় হবে এবং কিছুটা চুরি হবে। দিন শেষে মানুষের কোনো উপকার হবে না।
সোমবার ‘জাতীয় অর্থনীতির পর্যালোচনা ও আসন্ন বাজেট’ নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এসব কথা বলেন নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে একদিকে অর্থ বরাদ্দ কম, ‘অন্যদিকে অর্থ ব্যবহার করার সক্ষমতা নেই। কোন মন্ত্রণালয়ের কোনখাতে কী ধরনের সক্ষমতা আছে, কতো ব্যয় করতে পারে, সেটাকে বেঞ্চমার্ক ধরে অর্থ মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয়। এখন বর্ধিত যে অর্থদেয়া হবে, সেটা তারা (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) কীভাবে খরচ করবে? আবার যেটা খরচ করল সেটাও বা কীভাবে হলো? এখানে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এগুলো আপনারাই রিপোর্ট করেছেন। সুতরাং এই একটা খাতের যে বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, দুর্নীতি, দুর্বলতা এগুলোরকারণেই কিন্তু বরাদ্দ দিয়েও লাভ নেই। সুতরাং যেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেটার যথাযথ বাস্তবায়ন করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
ফাহমিদা খাতুন বলেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনন্ত ৪ শতাংশ সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ রাখা উচিত।ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সিপিডির পক্ষ থেকে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।