আবারো বাড়ছে লকডাউন, ২৩মে খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার চলমান লকডাউন (বিধিনিষেধ) আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পূর্বঘোষিত ২৩ মে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না বলে সরকারের উচ্চমহলের একটি সূত্রে জানা গেছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার চলমান বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, রোববার (১৬ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে।
ফরহাদ হোসেন শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, এখন যেমন ভাবে বিধিনিষেধ চলছে, তেমন করে আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
সেক্ষেত্রে ঈদ করতে গ্রামে যাওয়া মানুষ গুলো কীভাবে শহরে ফিরবেন সে বিষয়টিও চিন্তা করছে সরকার। বিধিনিষেধে কী কীথাকবে, সেই বিষয়গুলো আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক করে রোববার জানানো হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এখন থেকে শতভাগ মাস্কপরা বাধ্যতা মূলক করতে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হবে।
এদিকে, সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা ছিল, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২৩ মে। আর বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ২৪ মে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানুষের চলাচল ও সার্বিক কাজকর্মে চলমান বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করার কারণে ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।
শুধু তা–ই নয়, আরো কিছুদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রথমে তা সবার জন্য খুলবে না। প্রথমে শুধু এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণীকক্ষ খোলা হবে। তাদের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে ক্লাস করানোর পর পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী শনিবার একটি গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু চলমান বিধিনিষেধ আরো একসপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে, তাই ২৩ মে স্কুল–কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা সম্ভব হবে না।
করোনাভাইরাসের কারণে ১৪ মাস ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এর ফলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চারকোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যা পড়েছে। ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে।কতটুকু শিখল, সেটাও যাচাই করা যাচ্ছে না।