পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায়, চরম ভোগান্তিতে পোশাক শ্রমিকরা
সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হলেও চালু রাখা হয়েছে পোশাকশিল্প কারখানাসহ জরুরি সেবাদানকারী পরিবহন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। দ্বিতীয় দফায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত শুরু হওয়া এ কঠোর লকডাউনে সাধারণ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় প্রথমদিনই চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পোশাক শ্রমিকরা।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে অনেকে পায়ে হেঁটে, ভ্যানে চড়ে কিংবা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় কারখানায় কাজে যোগদিয়েছে। এতে করে ভোগান্তির পাশাপাশি শ্রমিকদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া ও গাদাগাদি করে কর্মস্থলে যাওয়ায় তাদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকিও বাড়ছে।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি মোকাবিলায় সরকার সারা দেশে আরও ৮ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেগত সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে ১৪ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে ১৩টি বিধি নিষেধের ৪ নম্বর নির্দেশনায় বলা হয়– শিল্প–কারখানা গুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা–নেয়া নিশ্চিত করতে হবে।
কারখানা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক পরিবহনের কথা থাকলেও কোনও কারখানা মালিকই তা বাস্তবায়ন করেনি।