করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে চায় বিএসইসি
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর টাকার প্রয়োজন হয় না। তাদেরকে পুঁজিবাজারে আনতে করপোরেট কর ব্যবধান বাড়ানো প্রয়োজন। তাই আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করপোরেট করের ব্যবধান ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেবে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
মঙ্গলবার আগারগাওস্থ বিএসইসির ভবণের হল রুমে প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিদেশিদের দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করার করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে রোড শো’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে তাদের রুলস রেগুলেশন মানতে দুই থেকে তিন শতাংশ আরো খরচ বেড়ে যাবে। এতে করে তারা তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তাছাড়া বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর টাকার প্রয়োজন হয় না। তিনি বলেন, তাদের অতিরিক্ত অর্থ রয়েছে। যে কারণে তাদের কিছু ইনসেনটিভ দিতে হয়। এ ক্ষত্রে তাদের ইনসেনটিভ দেয়ার একমাত্র উপায় হলো কর ছাড়। করপোরেট কর হারের ব্যবধান ১৫ শতাংশ করা হলে তারা তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী হবে।
তিনি বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হলে করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে হবে। আগে তালিকা বহির্ভূত করের ব্যবধান ১০ শতাংশ থাকলেও চলতি বাজেটে সেটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতে করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এজন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে এ দুই ক্যাটাগরির করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে হবে।
দুবাইতে আয়োজিত রোড শো নিয়ে শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, উক্ত বিষয়টিকে রোড শো বলা হলেও বিষয়টি সচরাচর ঘটে যাওয়া রোড শো’র মতো নয়। বিএসইসি রোড শো অন দুবাই অনুষ্ঠানটিতে বিদেশী এবং বাংলাদেশি প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলার জন্য কিছু বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। চার দিনের এই অনুষ্ঠানে থাকছে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন এবং বিশেষ কিছু আকর্ষণ, নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি, সুকুক বা ইসলামিক বন্ডে আগ্রহী, এঞ্জেল ইনভেষ্টর, ভেনচার ক্যাপিটালিস্টসহ ভিবিন্ন সেক্টর থেকে আগত অতিথিদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন। এছাড়া লন্ডন, রোম, টরন্ট, হংকং, নিউইয়র্ক, সিঙ্গাপুর, টোকিও, মালয়শিয়াসহ বিভিন্ন উন্নত শহরে ভবিষ্যতে এই আয়োজনের পরিকল্পনা ছিলো, তবে করোনা মহামারির কারণে তা হয়ে উঠছে না। তবে দুবাইয়ের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক বলে দুবাই দিয়েই এই আয়োজনের সূচনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।