বিশ্বব্যাপী পালিত হলো নবম বিশ্ব হিজাব দিবস
পহেলা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস। বিশ্বের সব বর্ণ, ধর্ম-নির্বিশেষে সব নারী নানাভাবে উদযাপন করছে দিবসটি। করোনা মহামারির কারণে এবার দিবসটি ভার্চুয়ালি উদযাপিত হচ্ছে। এবার বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে নবম বিশ্ব হিজাব দিবস।
এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘আমাদের গর্বকে আপনার কুসংস্কার বানাবেন না। হিজাবভীতি বন্ধ করুন।’
আগের দিন ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে বাস্তবায়নকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে আন্তর্জাতিক সময় সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচার হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পেশার নারী অতিথিদের নিয়ে এবার আমরা বিশ্ব হিজাব দিবস উদযাপন করব। এবারের প্রতিপাদ্য বর্তমান সময়ের সাথে খুবই প্রাসঙ্গিক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হিজাব নিষিদ্ধ। অনেক মুসলিম নারী শারীরিক ও মানসিকভাবে সহিংসতার শিকার। হিজাব বিষয়ে সবার মধ্যে সচেতনতা, শিক্ষা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে সবার সম্পর্ক তৈরি করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস পালন শুরু হয়। আর এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, একজন বাংলাদেশী নারীর আহ্বানেই এই হিজাব দিবসের যাত্রা শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত নাজমা খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সর্বপ্রথম হিজাব দিবস পালনের পক্ষে প্রচারণা চালান। এর ধারাবাহিকতায় পরে মুসলিম দেশগুলোতে এই দিবসটি পালনের প্রচলন শুরু হয়। শুরু হওয়ার পরপরই হিজাব দিবস বিশ্বজুড়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। প্রথম বছরেই ৬৭টি দেশের মুসলিম নারীরা ছাড়াও খ্রিস্টান, ইহুদি, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও হিজাব দিবস পালন করেন। ১৯১৮ সালে ১৫০টি দেশে এ দিবস পালিত হয়েছিল।
হিজাব দিবসের আহ্বানকারী নাজমা খান ১১ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুসলিম নারীরা ছাড়াও খ্রিস্টান, ইহুদি, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারীরা হিজাব পরিধান করে দিবসটি পালন করেন। মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধানের সংস্কৃতি দেখে তারাও হিজাবের দৃষ্টিনন্দন সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। হিজাব পরিহিতা অমুসলিম নারীরা হিজাবের ব্যাপারে তাদের নিজ নিজ অনুভূতিও ব্যক্ত করেছিলেন।