ভিটামিন ই-এর যত উপকার

0

ভিটামিন ই আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সহায়তা করে এবং রক্ত ​​জমাট বাঁধা থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন ই যুক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে ভিটামিন ই-এর ঘাটতিজনিত রোগ প্রতিরোধ হয় এবং সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। ভিটামিন ই তার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং এটি আমাদের দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং অসুস্থতা থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে।

‘ভিটামিন ই’-এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে নিচে দেয়া হলো :

১) অ্যাটাক্সিয়া একটি সমন্বয়ঘটিত রোগ। এটি মস্তিষ্ক, পেশী এবং স্নায়ুর ক্ষতি করে। অ্যাটাক্সিয়া এবং ডিস্প্রাক্সিয়ার মতো সমন্বয়ঘটিত রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ই-এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট অত্যন্ত কার্যকর।

২) ভিটামিন ই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের চাপকে প্রতিহত করে। এটি আলজেইমার এবং পার্কিনসনের মতো রোগও প্রতিরোধ করে।

৩) অতিরিক্ত প্রোল্যাকটিন ক্ষরণ মহিলাদের মধ্যে প্রিমেন্সট্রুয়াল সিন্ড্রোম-এর লক্ষণ সৃষ্টি করে। ভিটামিন ই প্রোল্যাক্টিনের প্রভাবকে স্বাভাবিক করে তোলে এবং PMS-কে প্রতিরোধ করে।

৪) উচ্চ রক্তচাপ সাধারণত কিডনির সাথে সম্পর্কিত। ভিটামিন ই-এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উচ্চ রক্তচাপকে কমায় এবং শরীরে কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে।

৫) গুড কোলেস্টেরল কমে গেলে বা ব্যাড কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে শরীরের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ই আমাদের শরীরে এই গুড এবং ব্যাড কোলেস্টেরলের সমতাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে, আমাদের শরীর সুস্থ থাকে।

৬) বয়স বাড়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন চোখের সমস্যা দেখা যায়। ভিটামিন ই আমাদের দৃষ্টি শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কারণে দৃষ্টি এবং চোখের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ হয়।

৭) হরমোনের ক্ষরণের অসমতা আমাদের দেহে নানারকম সমস্যার সৃষ্টি করে। যেমন-দেহের ওজন কমে যাওয়া, ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া, ইউরিন ইনফেকশন, চুল পড়ে যাওয়া। এছাড়া স্নায়ু জনিত নানা সমস্যা ও হরমোনের অসম ক্ষরণের ফলে দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ই শরীরে হরমোনের ক্ষরণকে ঠিক মতো চালনা করতে সাহায্য করে শরীরের স্বাভাবিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।

৮) ফ্যাটি লিভার এবং লিভারের প্রদাহের চিকিত্সায় ভিটামিন ই খুব কার্যকর। এটি লিভারের এনজাইমগুলির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং এতে চর্বি জমা রোধ হয়।

৯) ভিটামিন ই শুক্রাণুর গুণমানকে উন্নত করে এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে তাদের রক্ষা করে।

ভিটামিন ই এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ভিটামিন ই-এর সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো হলো

১) ডায়রিয়া,
২) মাথা ব্যথা,
৩) বমিভাব,
৪) ক্লান্তি,
৫) অস্পষ্ট দৃষ্টি,
৬) মহিলাদের ডিম্বাশয়ে সমস্যা,
৭) গায়ে লাল লাল ফুসকুড়ি।

সতর্কতা
১) গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ই গ্রহণের আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কারণ, এটি ভ্রূণের পক্ষেও ক্ষতিকারক হতে পারে।
২) অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পরপরই ভিটামিন ই গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
৩) ডায়াবেটিস রোগীদের তাদের ডায়েটে ভিটামিন ই এর পরিমাণকে সীমাবদ্ধ করা উচিত কারণ এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৪) ভিটামিন কে-র ঘাটতি যাদের আছে তাদের ভিটামিন ই খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
৫) এটি পুরুষদের মধ্যে প্রস্টেট ক্যান্সারের অবস্থা বাড়াতে বা খারাপ করতে পারে।
৬) যাদের একবার,দু’বার স্ট্রোক হয়ে গেছে তাদের এড়িয়ে চলা উচিত।

সূত্র : বোল্ডস্কাই

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com