ভারতীয় তরুণীকে বিয়ে করে ‘লাভ জিহাদে’ ফাঁসলেন বাংলাদেশী সাংসদের ছেলে
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পড়তে গিয়ে ‘লাভ জিহাদের’ অভিযোগে ফেঁসে গেছেন বাংলাদেশের এক সাংসদের ছেলে। ভারতের চেন্নাইয়ের এক ব্যবসায়ীর মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনা ঘটার পর মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করেছেন চেন্নাইয়ের ওই ব্যবসায়ী। পুলিশ তদন্তের ভার দিয়েছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) ওপর। তবে ওই সাংসদ কিংবা তার ছেলের নাম জানায়নি কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে সাংসদ কিংবা তার পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পরিবার সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, লন্ডনে পড়তে গিয়ে ভারতীয় তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় অভিযুক্ত যুবকের। তারপর প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজন।
তামিলনাড়ু পুলিশের কাছে তরুণীর বাবার অভিযোগ, গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশী সাংসদের ছেলে মেয়েটিকে অপহরণ করেন। এরপর তাকে জোর করে বাংলাদেশে নিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়। বিয়ের পর দুজনেই লন্ডনে রয়েছেন।
অভিযুক্ত বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং ঘটনাস্থল লন্ডন হওয়ায় তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে এনআইএর হাতে। এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মেয়েটির সঙ্গে তদন্তকারীরা যোগাযোগ করেছেন। হোয়াটসঅ্যাপ জেরায় জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তরুণী।
সূত্র জানিয়েছে,ভারতীয় তরুণী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, নিজের ইচ্ছেতেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তিনি। ছেলেটিকেও ভালবেসে বিয়ে করেছেন, কেউ তাকে জোর করেনি। এখন তারা সুখী দম্পতি।
এ ব্যাপারে সরকারিভাবে এনআইএর পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তদন্ত চলছে। আদালতে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
চেন্নাইয়ের পুলিশ কমিশনার মহেশ কুমার আগরওয়াল বলেন, গত বছর অপহরণের মামলা করা হয়েছিল। এনআইএর হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়। তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে আর খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে বিজেপিশাসিত একাধিক রাজ্যে ‘লাভ জিহাদের’ বিরুদ্ধে আইন করা হয়। যদিও ভারতীয় সংবিধান বা আইনে ‘লাভ জিহাদের’ কোনও উল্লেখ নেই বলেই সংসদে ও সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল কেন্দ্র।