এবার কমান্ডো সিনেমা ‘ধুয়ে’ দিলেন মামুনুল
উভয় বাংলার সুপার স্টার দেবের জন্মদিন ঘিরে রিলিজ দেওয়া হয়েছে শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের অ্যাকশন মুভি ‘কমান্ডো’র টিজার। নায়ক দেবের বিপরীতে বাংলাদেশের জাহারা মিতু অভিনয় করেছেন। দেবের ইউটিউব চ্যানেল ‘দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেনচার্স’-এ দর্শকরা এই চলচ্চিত্রটির টিজার দেখতে পাচ্ছেন।
দেলেয়ার হোসেন দিলের চিত্রনাট্যে কমান্ডো চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় পরিচালক শামীম আহমেদ রনি। আর এ চলচ্চিত্রটির প্রযোজক বাংলাদেশের খ্যাতনামা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া ও শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার মো. সেলিম খান।
হালের আলোচিত ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ’র পর এবার সিনোমাটির বিষয়ে মুখ খুললেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক। সম্প্রতি ফেস দ্য পিপল উইথ সাইফুর সাগর টকশোতে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মামুনুল হককে।
তবে সিনেমাটির টিজার প্রকাশের পরপরই আপত্তির ঝড় উঠলে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। এখানে ইসলাম ধর্মের সঙ্গে জড়িত আনুষাঙ্গিক বিষয়কে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ উঠেছে।
সিনেমাটির বিষয়ে আপত্তি নিয়ে মানুনুল হক বলেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা আপত্তিকর জায়গাগুলোর সবটা রাজনৈতিকভাবে উত্থাপণ করি না। ধর্মীয় দায়িত্বের ৮০/৯০ ভাগ আমরা নিসিহতের মাধ্যমে, মানুষকে উপদেশের মাথ্যমে পারন করে থাকি। চলচ্চিত্রসহ যাবতীয় বিষয়গুলো সে জায়গাটাতে পড়ে। দেব অভিনীত ছবির টিজার ততটুকুর মধ্যেই সীমাবন্ধ নয়।
তিনি বলেন, ‘যে ট্রেলার প্রচারিত হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে কালেমা খচিত পতাকা, সেই পতাকাটাকে সন্ত্রাসবাদের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে, এবং সম্পূর্ণ ইসলামী লেবাস পরিহিত, সুন্নত সংবলিত যে লেবাস-পোশাক, যে অবয়ব, বেশভুষা সেটাকে সংবলিত করে কিছু জঙ্গিবাদী চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আর সেই চিত্রের বিরুদ্ধে কলকাতার একজন অভিনেতাকে অ্যাকশন নিয়ে, কালেমার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে সেটাকে ধ্বংস করার একটা পাঁয়তারা- এমন একটা ভূমিকা আমরা লক্ষ্য করছি।’
মামুনুল হক আরও বলেন, এখানে যে বিষয়টি আপত্তির জায়গা সেটা হল যে এটা কীভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ যেটা মুসলমানদের চেতনার বিষয়, মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিষয় এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদের সবচেয়ে আবেগের বিষয়, সবচেয়ে বড় সংবেদনশীলতার যে জায়গাটা, সেটাকে কেউ যদি জঙ্গিবাদি প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়? এরচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক আর কী হতে পারে! আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে এই বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক শুধু নয়, বরং চরমভাবে সাম্প্রদায়িক এবং উসকানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি।