বড় বিনিয়োগ চুক্তির দ্বারপ্রান্তে চীন-ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও চীনের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত ব্যবসায়িক বিনিয়োগ চুক্তির অপেক্ষা শেষ হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
চীন-ইইউ’র মধ্যে বিনিয়োগ চুক্তির আলোচনা শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। কিন্তু বেশ কিছু ইস্যুতে জটিলতার কারণে এতদিন আটকে ছিল এর বাস্তবায়ন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীনের অবস্থান পরিবর্তিত হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের বড় প্রভাব থাকতে পারে। এই চুক্তি হলে ইউরোপীয় সংস্থাগুলোর জন্য চীনের বাজার আরও উন্মুক্ত হবে এবং প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একাধিক সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, বিনিয়োগ চুক্তির ফলে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চীনের প্রস্তুতকারক খাত আরও উন্মুক্ত হবে। সহযোগিতা বাড়বে নির্মাণ, প্রচারণা, বিমান পরিবহন ও টেলিকম খাতে।
গত কয়েক বছর চুক্তি আটকে থাকার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল ইইউ’র জ্বালানি বাজারে চীনের প্রবেশাধিকার দাবি করা। স্পর্শকাতর এই ইস্যুর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে এসেছে বারবার। এখন চুক্তি হলে ইউরোপের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ছোট আকারে প্রবেশাধিকার দেওয়া হতে পারে বেইজিংকে।
নতুন চুক্তির মাধ্যমে চীনে বিদেশি বিনিয়োগের বিভিন্ন বাধাও দূর হতে পারে। বিশেষ করে যৌথ বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা বা নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানে বিদেশি মালিকানায় নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আসতে পারে।
চুক্তির শর্তগুলো চূড়ান্ত হয়ে গেলে সেটা ইউরোপীয় পার্লামেন্টে অনুমোদন পেতে হবে। তবে এই প্রক্রিয়া ২০২১ সালের প্রথমার্ধে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।