জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের আসল হিরো: রিজভী

0

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিজয় দিবস জাতির জীবনে একটি মহিমান্বিত দিন। যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন বিশ্বের সব জাতির জন্য সুযোগ হয়নি। কিন্তু আমরা সেটা পেয়েছি। এই বিজয়ের নেপথ্যে ছিল অধিকারের প্রশ্ন। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের তাড়িয়ে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম ছিল ব্যতিক্রম। স্বাধীনতার পর ৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় যারা ছিলো তারাও পাকিস্তানিদের মতো গণতন্ত্র হত্যা করে। বিরোধী মতকে সহ্য করতে পারেনি। একটি রাজনৈতিক দলদেশে একদলীয় শাসন কায়েম করে। গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে বিরোধীদের গ্রেফতার করা হয়। অর্থাৎ ওই সময় আওয়ামী লীগ যা করেছে সেসবই হচ্ছে ফ্যাসিবাদের বাংলাদেশী সংস্করণ। একপর্যায়ে ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান পাদপ্রদীপের মতো উদ্ভাসিত হন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন, আওয়ামী লীগের পুনর্জীবন দান করেন। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা পুন:প্রতিষ্ঠা করেন। এ ধরনের বিরাট সাফল্যের কৃতিত্ব জিয়াউর রহমানের।

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন  (জেডআরএফ) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আজকে ডিজিটাল আইন ও কালাকানুন করে মানুষকে দমানো যায় না। নতুন প্রজন্ম কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে ঠিকই জানতে পারছে যে, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের আসল হিরো। জুলুম করে আদালতকে দিয়ে জাতির পিতা বানানো হচ্ছে। পৃথিবীর কোনো দেশে জাতির পিতা বানানো বা রাজনীতির অবদান আইন দ্বারা নির্ধারণের ইতিহাস নেই। এসবই হয় স্বাভাবিকভাবে।

তিনি বলেন, ইতিহাস কিন্তু চলে তার নিজস্ব গতিতে। জনগণ যেটা চাইবে সেটাই রাজনীতিবিদদের ধারণ করতে হবে। যা বিশ্বের উন্নত দেশসমূহে দেখা যায়। কিন্তু সরকার তাদের নিজেদের বিচারকদের দিয়ে আইন প্রণয়ন করছে। কারণ মুক্তিযুদ্ধে তাদের কোনো অবদান নেই। সেই অনুশোচনা থেকেই এসব করছে। প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের কোনো অবদান নেই বলেই যা মন চায় সেটাই জনগণকে মানতে বাধ্য করছে। ইতিহাসের মহানায়ক জিয়াউর রহমান। কাউকে ভিলেন বানিয়ে আর কাউকে নায়ক বানিয়ে সত্যকে চাপা দেয়া যায় না। জিয়াউর রহমানের নির্মল চরিত্রে কালিমা লেপন করা যাবেনা। দেশের স্বাধীনতা ও জিয়াউর রহমান সমার্থক।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com