হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শেষ হচ্ছে আজ
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শেষ হচ্ছে আজ। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব। এ কারণে সব পূজা মণ্ডপের বাতাসেই এখন বিষাদের ছায়া। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের ঘরে ঘরে মন খারাপের দিন। ঢাক-কাসরের বাদ্যি-বাজনা আর পূজারি ও ভক্তদের পূজা-অর্চনায় কেবলই দুর্গার বিদায়ের আয়োজন।
আজ সোমবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন দেয়া হবে। এরপর সারা দেশে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হবে। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার বিজয়া শোভাযাত্রা হচ্ছে না। সব মণ্ডপ ও মন্দিরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সর্বত্র বিসর্জন শেষে ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করবেন।
বিজয়া দশমী উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করবে বিশেষ সংখ্যা ও নিবন্ধ। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন।
করোনার কারণে এবার দুর্গাপূজাকে ঘিরে আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জাসহ সব ধরনের উৎসব বাদ দেয়া হয়েছে। এই কারণে বিজয়া দশমীতে আজ ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপসহ সব মন্দির-মণ্ডপে আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও প্রসাদ বিতরণ হবে না। তবে মণ্ডপে মণ্ডপে রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি ও ভোগ আরতিসহ অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালা।
গতকাল রোববার ছিল দুর্গাপূজার মহানবমী। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দেবীর মহানবমী কল্পরাম্ভ ও মহানবমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা শেষে পুষ্পাঞ্জলি ও সন্ধ্যায় ভোগ আরতি করা হয়। এ দিন দেবী দুর্গাকে বিদায়ের আয়োজনে বিষণ্ন মন নিয়েই পূজার আনন্দে মেতেছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ায় আগের কয়েকদিনের মতো বৃষ্টিও ছিল না। এই কারণে মন্দির-মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল আগের তিন দিনের তুলনায় খানিকটা বেশি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজারী ও দর্শনার্থীরা পূজা উপভোগ করেছেন। তবে করোনার কারণে আগের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ মণ্ডপে সন্ধ্যা আরতির পর দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়।