ক্যাসিনো কাণ্ডের ৪১ মামলার নেই অগ্রগতি, জামিন নিতে মরিয়া আসামিরা

0

অগ্রগতি নেই ক্যাসিনো কাণ্ডের ৪১ মামলার বিচারের। র‌্যাব ও সিআইডি অধিকাংশ মামলার তদন্ত শেষ করলেও একটি মামলারও অভিযোগপত্র দিতে পারেনি দুদক। এই সুযোগে জামিন নিতে মরিয়া অনেক আসামি। রাষ্ট্রপক্ষের অজুহাত, দীর্ঘদিন কোর্ট বন্ধ থাকায় বিচার শুরু করা যায়নি। দুদক আইনজীবী বলছে, সময় লাগা স্বাভাবিক। সিআইডি বলছে, তাদের তদন্তে আসামিদের বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসছে।

গত বছরের এইদিনে শুরু হয় ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান। দুইমাসে ৫০ টি অভিযানে গ্রেফতার হন কয়েকডজন আসামি। একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে ক্রীড়া ক্লাবের আড়ালে অপরাধ জগতের নানা তথ্য।

এই অভিযানে গ্রেফতার অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী। তাদের গ্রেফতারের পর ঢাকার ক্যাসিনো ব্যবসা বন্ধ হলেও অগ্রগতি নেই ৪১ মামলার বিচারের। বিচার চলছে শুধু দুটি মামলার।

তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া র‌্যাব,সিআইডি ৩‌১ মামলার মধ্যে ২২টি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে। আর দুর্নীতির ১২ মামলার একটিরও তদন্ত শেষ করতে পারেনি দুদক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর অজুহাত, করোনায় দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ থাকায় বিচার শুরু করা যায়নি। দুদক আইনজীবী বলছেন, তদন্ত শেষ করতে আরও সময় লাগবে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম বলেন, ‘স্পেসিফিক সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। ব্যাংক একাউন্ট সংগ্রহ করতে হয়। সব কিছু মিলিয়ে দেখতে হয়, পরীক্ষা করে দেখতে হয়, ভ্যাটিং করতে হয়, কাজেই সময় সাপেক্ষ তো এটা তো আর মার্ডার কেস না।’

এদিকে, মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘লকডাউন ছিলো, কোর্ট বন্ধ ছিলো, কিন্তু এখন এগুলো খুলেছে আর সব শুরু হয়েছে তাই যথারীতি মামলা চলবে এবং সাক্ষী গ্রহণ শুরু হবে।’

এই সুযোগে জামিনে নিতে মরিয়া আসামিরা। ক্যাসিনো ব্রাদার নামে পরিচিতো এনু-রূপমকে জামিন কেনো দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত। ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও জিকে শামীম চিকিৎসার নামে দীর্ঘদিন রয়েছেন হাসপাতালে।

প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘অসুস্থতার ভান করে যদি হাসতাপালে থাকার চেষ্টা করে সেটা অন্যায় হবে।’

অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা বিন্দুমাত্র কাউকে ছাড় দিবো না, আগেও কাউকে ছাড় দিইনি।’

তদন্তকারী সংস্থাগুলো বলছে, আসামিদের বিপুল সম্পদের তথ্য মিলেছে। মামলার সংখ্যা আরো বাড়বে ।

সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা ইনকুয়েরী যখনই শেষ করব, তখন এটা করবো। কিন্তু আমরা যথেষ্ট এভিডেন্স পাচ্ছি।’

এ পর্যন্ত আসামিদের ব্যাংক হিসেবে থাকা ৪০৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে ৩৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com