পুরনো ঢাকায় রাসায়নিক কারখানা ও অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে টিআইবির ১০ দফা সুপারিশ
রাজধানীর পুরনো ঢাকায় রাসায়নিক কারখানা ও অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে টিআইবি।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এসব সুপারিশ তুলে ধরে। “নিমতলী, চুড়িহাট্টা এবং অতঃপর: পুরনো ঢাকার অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ এবং করণীয় ” শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এর আয়োজন করা হয়।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১.যেকোনো দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। নিমতলী ও চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২.সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে রাসায়নিক বিপর্যয়রোধে জাতীয়ভাবে একটি রাসায়নিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন এবং রাসায়নিক নিরাপত্তা বিষয়ে নির্দেশিকা তৈরি ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৩.এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি সম্পর্কে বোঝাতে হবে এবং পুরনো ঢাকা থেকে রাসায়নিক গুদাম, কারখানা ও ব্যবসা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
৪.সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সরাসরি তদারকির মাধ্যমে রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম সরকার নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তর নিশ্চিত করতে হবে।
৫.ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ কারখানা চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ করতে হবে, অথবা অন্তবর্তীকালীন পদক্ষেপ হিসেবে স্বল্পমেয়াদী সময় দিয়ে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। স্থানান্তরে রাজি না হলে এসব কারখানার সব ইউলিটি বন্ধ করতে হবে।
৬.তদন্ত কমিটি ও টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার জন্য এবং আদালত অবমাননাকারী দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
৭.পুরনো ঢাকার অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে হবে। ভবনগুলোতে নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ ও জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করতে হবে।
৮.রাসায়নিক গুদাম ও কারখানা প্রতিষ্ঠার লাইসেন্স প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক ও স্বচ্ছ করতে হবে।
৯.আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজউক, কলকারখানা ও পরিদর্শন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা আইনে নিশ্চিত করতে হবে।
১০.পুরনো ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ ইউনিট তৈরি করতে হবে।