পরিসংখ্যানের মান বাড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন —বিশ্বব্যাংক

0

বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে তথ্যে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার ও আরো স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কাঠামোর পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় ও সময়মতো বাজেট বরাদ্দ করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের স্ট্যাটিস্টিক্যাল ক্যাপাসিটি ইনডিকেটরে (এসসিআই) বাংলাদেশের অবনতির কারণ জানতে চেয়ে পাঠানো এক ই-মেইলের জবাবে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের প্রোগ্রাম লিডার ইউতাকা ইয়োশিনো এ মন্তব্য করেন। 

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে পাঠানো ওই ই-মেইল বার্তায় তিনি বলেন, সময়মতো ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রামাণিক দলিল হিসেবে ভূমিকা রাখে। তাছাড়া উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসের ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর ডেভেলপমেন্ট অব স্ট্যাটিস্টিকস (এনএসডিএস) প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সময়োপযোগী ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান তৈরিতে সহায়তা করছে।

ইউতাকা ইয়োশিনো জানান, এসসিআই মূলত তিনটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। পদ্ধতি, উৎস ও সময়ের পর্যায়ক্রমিকতা—এ তিনটি বিষয় নিয়েই এসসিআই করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এ সূচকে বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে। ২০১৪ সালে যেখানে বাংলাদেশ ৮০ পয়েন্ট পেয়েছিল, সেখানে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের স্কোর ৬২.২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। মূলত পদ্ধতিগত ত্রুটি ও পর্যায়ক্রমিকতায় কম স্কোর পাওয়ার কারণেই এমনটি হয়েছে।

জাতীয় অ্যাকাউন্টের ভিত্তি বছর, ভোক্তা মূল্য সূচকের ভিত্তি বছর ও সরকারি অর্থ হিসাবের সূচকগুলোর স্কোর হ্রাসের কারণে মেথডোলজি পদ্ধতিতে কম স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া লিঙ্গবৈষম্য ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তি সূচকগুলোর স্কোর হ্রাসের কারণে পর্যায়ক্রমিকতায় স্কোর  কমেছে বাংলাদেশের।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com