করোনা শনাক্তের ফি নেয়া আত্মঘাতী: ড্যাব
গত ২৮শে জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনা সনাক্তকরণের ফি নির্ধারণ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এটাকে সরকারের এহেন অবিবেচনাপ্রসূত ও অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
বুধবার ড্যাবের দপ্তর সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানান সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম।
এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের করাল থাবায় বাংলাদেশ বিপর্যস্ত। শুরু থেকেই সরকারের বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত ও সমন্বয়হীনতার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে টেস্টের হার খুবই নগণ্য। বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক সক্ষমতা ও আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার নিরিখে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান যে ফি নেয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মানুষের মধ্যে টেস্টের আগ্রহ কমবে। ফলে সামাজিক সংক্রমণ চরমভাবে বৃদ্ধি পাবে।
ড্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার ভয়ংকর ছোবলে বাংলাদেশের অর্থনীতিও চরমভাবে বিপর্যস্ত, শ্রম হারিয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
এমতাবস্থায় করোনা সনাক্তকরণে ফি নেয়ার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা দূর্নীতির মাধ্যমে লোপাট করে জনগণকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা ও নতুন করে দরিদ্র হওয়া ব্যাপক জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সেবা দূরে থাক সনাক্ত ব্যাতীতই মৃত্যুবরণ করবে।
ড্যাব নেতৃবৃন্দ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনাপূর্বক সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এহেন অবিমৃষ্যকারী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন।