মানব পাচারে সরকারি দলের এমপিরা জড়িত — যুক্তরাষ্ট্র
মানবপাচারের সঙ্গে সরকারের ককর্মকর্তারাও জড়িত। আর তাদের জড়িত থাকার বিশদ রিপোর্ট রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্টের ২০২০ সালের ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ জন কটন রিচমন্ড। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিরোধ বিষয়ক বিভাগের প্রধান।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও তার মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প যৌথভাবে বৃহস্পতিবার এ রিপোর্ট প্রকাশ করেন।
ভার্চুয়াল বিফ্রিংয়ে রিপোর্টের উপর আলোচনা করেন অ্যাম্বাসেডর রিচমন্ড। রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষ্যে বিশেষ এই ব্রিফিংএ অংশ নিয়ে জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান-গত মাসেই লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের হাতে ৩৫ বাংলাদেশির প্রাণহানি ঘটেছে। মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতের জেলে আটক আছেন বাংলাদেশের এমপি শহীদ ইসলাম, তার স্ত্রীও একজন এমপি।কুয়েতের সরকারি সূত্র ৭ জুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মানবপাচার আর টাকাপাচারে একজন এমপির জড়িত থাকার বিষয়টিকে বাংলাদেশের রাজনীতির দুবৃর্ত্তায়ন এবং লজ্জা বলে মন্তব্য করেছে টিআইবি। আমি যেটা বুঝাতে চাচ্ছি সেটা হলো ক্ষমতাসীনদের সমর্থক এমপিরাও জড়িয়ে পড়েছেন মানবপাচারে। আর সরকার বিষয়টিতে একদম গা ভাসানো মনোভাব।বাংলাদেশের এ অবস্থাটিকে আপনারে কীভাবে দেখছেন?”
জবাবে অ্যাম্বাসেডর রিচমন্ড বলেন, “আপনি প্রশ্নটি করায় আমি খুব প্রীত। বিষয়টা স্পষ্ট করে বলতে চাই তা হলো-সরকার অভিযুক্তদের সংখ্যা বাড়ালেও সে তুলনায় তদন্ত কম করছে। সরকারি কর্মকর্তাদের মানবপাচারে জড়িত থাকার বিষয়টিতে বিশদ রিপোর্ট রয়েছে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটা জটিল জায়গা, দেশটিতে মানবপাচার সক্রিয় থাকার পেছেন বিভিন্ন রকমের কারণ জড়িত। আমরা অনেকগুলো বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছি যেগুলো উদ্বেগের।”
মানবপাচার ধাপে বাংলাদেশ কিছুটা উন্নতি করেছে উল্লেখ করে রিচমন্ড আরো বলেন, “কয়েক বছর দেরিতে হলেও মানবপাচারে জড়িতদের বিচারে ট্রাইবুনাল এবং আদালত বসিয়েছে বাংলাদেশ। বিগত বছরের তুলনায় ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেশি শনাক্ত হয়েছে, বেড়েছে শাস্তির আওতায় আনা মানবপাচারকারীর সংখ্যা। এগুলোকে আমরা উন্নতির দিক হিসেবে দেখছি।”
বাংলাদেশে মানবপাচারের উদ্বেগের আরেকটা সুনির্দিষ্ট বিষয় হলো যৌন কাজে বাধ্য করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যৌন কাজে বাধ্য করার জন্য রাজধানীর যৌনপল্লীগুলোতে যেসব মানবপাচার হচ্ছে সে বিষয়ে সরকার যা করছে তা খুবি তুচ্ছ। এগুলো বিশ্বের বড় যৌনপল্লীগুলোর একটি। এসব যৌনপল্লীতে মানবপাচার নিয়ে আমরা খুবি উদ্বিগ্ন। সরকারকে আহবান জানাবো তদন্ত করে দেখতে।”
তিনি বলেন, প্রাপ্ত বয়স্ক বা কম বয়সী যাই বলুন না কেন আমরা সবার কাছ থেকেই জোরপূর্বক যৌন কর্মে বাধ্য করার অভিযোগ পেয়েছি।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে বাংলাদেশির জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা হচ্ছে মন্তব্য করে রিচমন্ড বলেন, “বাংলাদেশ সরকারকে আমরা মানবপাচারের এ বিষয় খতিয়ে দেখতে বলেছি এবং যারা এসব জোরপূর্বক কাজে বাধ্য করছে তাদের যোগসূত্র বের করতে আহবান জানিয়েছি।”
তিনি বলেন, “বিদেশে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যে ফি নির্ধারণ করা হয় সেটিও গভীর উদ্বেগের। নিয়োগে ক্ষেত্রে যে ফি নির্ধারণ করা হয় তাতে কর্মীদের জোরপূর্বক পরিশোধে বাধ্য করা হয়। মধ্যস্বত্তভোগী মানবপাচারকারিরা অবৈধভাবে এটা করে যাচ্ছে।”
রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, “সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কক্সবাজার। আমার সেখানে যাবার সুযোগ হয়েছে। মানবপাচার ইস্যুতে রোহিঙ্গারা যেসব ঝুঁকি মোকাবেলা করছে আমরা মনে হয় সে জায়গটাতে আরো অনেক কিছু করতে হবে।তদন্ত করতে হবে মানবপাচারের ঘটনাগুলো।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশকে মানবপাচারের ইস্যুতে আরও জোরালো পদক্ষেপ ন্রাতে হবে উল্লেখ করে রিচমন্ড বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূত মিলার মানবপাচার ইস্যুতে নিরলস কাজ করে চলেছেন এবং সরকারের কাছে ধারাবাহিকভাবে তা উত্থাপন করে যাচ্ছেন।
মানবপাচার নিয়ে তৈরি করা রিপোর্টের বাংলাদেশ অংশ বলা হয়েছে, “মানবপাচারের ঘটনায় সংঘটিত মামলাসমূহের তদন্ত কমিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।প্রশাসনের লোকদের এর সঙ্গে জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকা স্বত্ত্বেও থাকে কোনো রকমের পাত্তা দিচ্ছেনা। রোহিঙ্গা নারীদের বিদেশে বাধ্যতামূলক শ্রম প্রদান এবং যৌন কর্মে বাধ্য করা সংক্রান্ত হাজারো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকা স্বত্ত্বেও এসব নিয়ে কোনোধরনের তদন্ত করেনা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।”
শিশুদের যৌনপাচারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, “দেশটিতে শিশুদের যৌন কর্মে ব্যবহারের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তাদেরকে পাচার করা হয় যৌনপল্লীতেও। সরকার ভুক্তভোগীদের কোনপ্রকারের সহায়তা দিচ্ছেনা এমনকি একের পর এক ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার কোনো তদন্ত করছেনা।”
এতে আরো বলা হয়, “আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দেয়া হিসেব অনুযায়ী রিপোর্ট প্রকাশের এ সময়টাতে সৌদি আরবে ১০০০ এর বেশি বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক শ্রম কাজে পাঠানো হয়। সরকার এসব ভুক্তভোগীদের সেবায় কোনোরকমের ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি।এমনকি বিদেশি জনশক্তি পাঠানোর ক্ষেত্রে নিয়োগকারী সংস্থাগুলোকে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয় তাতে ফাঁকি দেবার সুযোগ করে দিয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।”
যেসব অভিবাসী শ্রমিকদের বাইরের পাঠানো হয় তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চার্জ আদায়ে নিয়োগদাতাদের সরকার মদদ দিচ্ছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, “যেসব মধ্যস্বত্ত ভোগী অবৈধ পন্থায় বিদেশে কর্মী পাঠায় তাদের বিষয়ে ধারাবাহিক কোনো তৎপরতায় মনযোগ নেই সরকারের। আর এটিই মানবপাচারের সুযোগ তৈরি করে দেয়।”
এতে বলা হয়, “যারা মানবপাচারের শিকার হয় তাদের সহযোগিতার বিষয়টি অপর্যাপ্ত। ভুক্তভোগীদের বাছাই করা কিংবা তাদের সেবাদানের জন্য কর্মকর্তাদের কোনো মনযোগ নেই।এসব ক্ষেত্রে যেসব বিদেশি ভুক্তভোগী রয়েছে তাদের সুরক্ষা পাবার কোনো সুযোগ এখানে নেই।”
সরকার মানবপাচারকারীদের মামলা বাড়িয়েছে ঠিকই কিন্তু কমিয়েছে মামলার তদন্তকান্ড উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, “দেশের ভিতর যৌন কর্মে বাধ্য করার বিষয়টি বন্ধে কিংবা মানবপাচারে প্রশাসনের সম্পৃক্ততা বন্ধে কোনো ধরণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। দুটি বিষয়ই যেনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।”
রিপোর্টে আরো বলা হয়, “বাংলাদেশে অনেক কর্মকর্তাই মানবপাচারের বিষয়টি স্পষ্ট বুঝেননা। বরং তাকে অভিবাসী পাচারের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন।অনেক কর্মকর্তাই দেশের অভ্যন্তরে মানবপাচার চক্র আছে তা মানতে চাননা। বিশেষ করে শিশুদের যৌন কাজে পাচারের বিষয়টিকে তারা অস্বীকার করেন। অথচ পর্যবেক্ষকরা বলছেন প্রতি মাসে যৌনপল্লীতে শিশু পাচার বাড়ছে।”
মানবপাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে বাংলাদেশে দীর্ঘসূত্রিতা অবলম্বন করা হচ্ছে মন্তব্য করে রিপোর্টে বলা হয়, “মানবপাচারের ঘটনায় আইনী কার্যক্রমে পুলিশ এবং আইনজীবিদের মধ্যে সমন্বয়ে ঘাটতি রয়েছে। যার ফলে মামলা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দেয়।দেশের বাইরে এধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে প্রায়ই বিদেশে যাননা বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। এমনকি এ ধরনের সহায়তা পেতে বাইরের দেশের সঙ্গে যে চুক্তি দরকার তাতেও ঘাটতি রয়েছে।”
এতে আরো বলা হয়, “অভিযোগ পাবার পর মানবপাচারের মামলায় বিচার শুরু করতে পুলিশের অনেক ক্ষেত্রে আট বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। একটি মানবপাচার ঘটনায় বিচার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গড়ে ১১ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়।”
মানবপাচারে প্রশাসনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি তোলে ধরে রিপোর্টে বলা হয়, “মানবপাচার, এ সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং অপরাধীদের সুরক্ষা দেবার ক্ষেত্রে প্রশাসন কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ কারণেই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারছেনা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।”
রিপোর্টে বলা হয়, “পর্যবেক্ষকদের মতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো অফিসের জেলা শাখার কিছু কর্মকর্তা মানবপাচারে সহায়তা দিচ্ছে। স্থানীয়ভাবে যেসব লোক মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত তারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের ছত্রছায়ায় অন্যায় কাজ করে যাচ্ছে। এনজিওদের দেয়া তথ্যমতে মানবপাচারের ভুক্তভোগীরা যাতে মধ্যস্বত্তভোগী মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনো নালিশ না করে সেজন্য পাচারকারীদের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে তা মিটমাট করে দেয়।”
মানবপাচারে শুধু সরকারি কর্মকর্তারাই নয় বরং এমপিরাও জড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, “বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তাসহ এমপিরাও বিদেশে চাকরি দেওয়ার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখেন। এটি অভিবাসনবান্ধব পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক। এর ফলে রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের ঠকায় এবং তাদেরকে সুরক্ষার বিষয়টি বাধাগ্রস্ত করে।”
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম পাপুলের মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, “কুয়েতি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ২০,০০০ বাংলাদেশিকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েতে নিয়ে যায় পাপুল। এক্ষেত্রে চুক্তি অনুযায়ী তাদের যে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা দেয়া হয়নি। যে বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল তার থেকে কম বেতন পেয়েছে অথবা একদম পায়নি।”
মালয়েশিয়াতে মানবপাচারের প্রসঙ্গ এনে রিপোর্টে বলা হয়, “মালয়েশিয়ার চাকুরি প্রদানকারী এজেন্সিগুলো এবং বাংলাদেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি উভয় দেশের কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের ঘুষ দিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিলো। প্রতিটি ব্যক্তির কাছ থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। যদিও মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য সরকারের নির্ধারিত ফি ছিল ৩৭,০০০ টাকা। এর ফলে অভিবাসীরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে।”
রোহিঙ্গাদের মানবপাচার প্রসঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়, “হাজারো রোহিঙ্গা মানবপাচারের শিকার হচ্ছে, তাদের দিয়ে বাধ্যতামূলক শ্রম প্রদান এবং যৌন কর্মে বাধ্য করা সংক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকা স্বত্ত্বেও এসব নিয়ে কোনোধরনের তদন্ত করছেনা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।বরং তারা শুধু নৌপথে পাড়ি দেবার ঘটনাগুলো বিবেচনায় নিচ্ছে শুধু।সরকারের আইনি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার ঘাটতির কারণে বঞ্চিত হচ্ছে রোহিঙ্গারা আর সুরক্ষা পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।”
রিপোর্টে বলা হয়, “বাংলাদেশের হাইকোর্টে রোহিঙ্গাদের করা মানবপাচার বিরোধী মামলাগুলোকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়া হয় না।অথচ আদালতে মামলা করার অধিকার রোহিঙ্গাদের রয়েছে।আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অভিযোগ বাংলাদেশ প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবপাচারে সহযোগিতা করছে।ক্যাম্পে প্রবেশের সুবিধা পেতে এইসব কর্মকর্তাদের ঘুষও দিচ্ছে মানবপাচারকারীরা।”