বৃদ্ধের লুঙ্গি-গেঞ্জি ছিঁড়ে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

0

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় এক বৃদ্ধের লুঙ্গি-গেঞ্জি ছিঁড়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি মো. আনছুর আলমকে (৪০) গ্রেপ্তার পুলিশ। 

আজ বুধবার সকালে জেলার মহেশখালী থানার ষাইটমারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান ‍বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশখালী থানার ষাইটমারা এলাকা থেকে আজ সকালে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’

এর আগে গত ২৪ মে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়ায় নির্যাতনের শিকার হন নুরুল আলম (৭২)। ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আনছুর আলমের নেতৃত্বে একদল বখাটে যুবক ঘটনাটি ঘটায়।

এ ঘটনার পর ৩১ মে বৃদ্ধ নুরুল আলমের ছেলে আশরাফ হোসাইন চকরিয়া থানায় মামলা করেন। এতে ওই এলাকার আনছুর আলম, বদিউল আলম, শাহ আলম, শাহ আলমের স্ত্রী আরেজ খাতুন, বদিউল আলমের ছেলে মিজানুর রহমান, আবদুল জাব্বারের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন ও মনজুর আলমের ছেলে মো. রুবেলকে আসামি করা হয়।

ওই বৃদ্ধকে নির্যাতনের ঘটনাটি নজরে আসা মাত্রই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মামলা নেওয়ার পাশাপাশি ৩১ মে রাতভত অভিযান চালায় পুলিশ। সেই অভিযানে পুলিশ তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও প্রধান অভিযুক্ত মো. আনছুর আলম পালিয়ে যান। কিন্তু তাকে ধরতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকে। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

এজাহারে বাদী দাবি করেছে, ‘গত ২৪ এপ্রিল আমার বৃদ্ধ বাবা নুরুল আলম ঈদের বাজার করে ঢেমুশিয়া স্টেশন থেকে টমটম গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আনছুর আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী টমটম থেকে আমার বাবাকে নামিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে পরনে থাকা লুঙ্গি, গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে। পাশাপাশি মারধর ও অসভ্য গালিগালাজও করে। কয়েকজন যুবক এসব ঘটনা মোবাইলের ক্যামরাতে ধারণ করে। এ সময় আমার বাবা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে ঘটনাটি শোনার পর আমার ছোট ভাই সিএনজি চালক সালাহউদ্দিন স্থানীয় লোকজনসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার বাবাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করান।’

মামলার বাদী আশরাফ হোসাইন এজাহারে আরও দাবি করেন, ‘ঘটনার সময় আমার বাবার ব্যবহৃত একটি মোবাইল সেট ও পকেটে থাকা নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় তারা।’

ঘটনার পর আশরাফ হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে আমার বাবার ওপর অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে ঘটনার অন্যতম সন্ত্রাসী আনছুর আলম। সে স্থানীয় যুবলীগের নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এমন কোনো অপকর্ম নেই যা সে করে না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com