দেশ করোনামুক্ত, আনন্দে নাচলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শেষ রোগীটিও সুস্থ হয়ে উঠেছেন নিউজিল্যান্ডে। দেশটিতে এখন আর একজনও করোনা আক্রান্ত রোগী নেই বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। আর এতেই শুধুমাত্র সীমান্ত বন্ধ রাখা ছাড়া অন্য সবধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটি। খবর বিবিসি, গার্ডিয়ান।
সোমবার (৮ জুন) নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন জানিয়েছেন, তার দেশে কোনও করোনা রোগী নেই। নিউজিল্যান্ডবাসীর ত্যাগ স্বীকার ও ঐক্যের জন্যই এই সাফল্য এসেছে বলে তার দাবি। সর্বশেষ যিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন রবিবার (৭ জুন) তিনিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ড এখন করোনা রোগীমুক্ত। এর অনুভূতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জেসিন্ডা জানান, যখন আমি এই খবর শুনলাম, তখন আনন্দে একটু নেচে নিলাম। আমি মেয়ে নেভিকেও দেখালাম। সে প্রথমে খুব বিস্মিত হয়েছিল, পরে সেও আমার সঙ্গে যোগ দেয়। যদিও আমার নিজেরও কোনো ধারণা ছিল না যে, কেন আমি লাউঞ্জের মধ্যে নাচছি।
৩৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ১৭ দিনে ৪০ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করা হয়েছে; কিন্তু কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। তবে তিনি বলেছেন, আবারও রোগী পাওয়া যাবে নিশ্চিত, সেটা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আর্ডেন বলেন, এখন আর তার দেশে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বাধ্যবাধকতা বা জনসমাগমের উপর যেসব নিষেধাজ্ঞা ছিলো, সোমবার থেকে তা আর কার্যকর নয়। আমরা বিশ্বাস করি, এখনকার মত ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ হয়েছে নিউজিল্যান্ডে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বের অন্যতম কঠোর লকডাউন পালন করেছে নিউজিল্যান্ড। তবে সোমবার থেকে তা আর থাকছে না। কেননা নিউজিল্যান্ডে আর নতুন কোনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে না। শেষ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন গত ২২ মে। তিনিও রবিবার সুস্থ হয়ে ওঠেছেন।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এ দেশটি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই কঠোর বিধেনিষেধ পালন করে আসা দেশগুলোর মধ্যে একটি। সেদেশে করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের।