আড়াই হাজার থেকে ৫০০ টাকা রেখে দিচ্ছে সরকারের লোকেরা
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৫০ লাখ গরিব পরিবারকে যে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে সেখান থেকে সরকারি দলের লোকেরা ৫০০ টাকা রেখে দিচ্ছে। এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর কাপ্তানবাজার এলাকায় বিএনপি নেতা হামিদুর রহমানের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, ৫০ লাখ গরিব পরিবারকে আড়াই হাজার করে টাকা দেবেন। কিন্তু এই আড়াই হাজার টাকা থেকে সরকারের লোকেরা ৫০০ টাকা করে রেখে দিচ্ছে। এটা কি ভণ্ডামি নয়? গরিব মানুষের সাথে প্রতারণা নয়? এরকম পরিস্থিতিতে দেশের গরিব, অসহায়, কর্মহীন মানুষদের দিনযাপন করতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, এই সরকার সংকট সমাধান করে না, সংকট সৃষ্টি করে। সংকট সমাধান করলে ত্রাণ লুটপাট হতো না, করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করত না, লকডাউন শিথিল করে সারাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিত না, প্রতিদিন হাজার হাজার লোক আক্রান্ত হতো না।
সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে কোনো ব্যবস্থা নেই, ৯০ ভাগ হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। মানুষ মরে যায় উনি (প্রধানমন্ত্রী) দেখান ফ্লাইওভার, মানুষের চিকিৎসা নেই উনি দেখান ফ্লাইওভার। মানুষের লাশের ওপর দিয়ে উনি উন্নয়ন করেন, মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলেন। এটাই উনার উন্নয়ন।’
রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। আমাদের সরকারি ত্রাণ দেয়া হয় না। আমাদের পকেটের টাকা দিয়ে খাদ্যসামগ্রী কিনে অসহায় মানুষদের মধ্যে বিতরণ করছি। আর সরকারের ত্রাণ গরিব মানুষ পাচ্ছে না। সরকারের ত্রাণ চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা, দলীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বাড়িতে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ত্রাণ দিতে যাচ্ছি তখন আমাদের নেতাকর্মীদের গুম করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারপরও আমরা বসে নেই। আমরা মানুষের পাশে আছি।’