দেশে করোনাভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ ৮৮৭ জন আক্রান্ত ও ১৪ জনের মৃত্যু
দেশে করোনাভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ ৮৮৭ জনের আক্রান্তের মধ্য দিয়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার।
চব্বিশ ঘণ্টার হিসেবে করোনাভাইরাসজনিত কভিড-১৯ এ মৃত্যুও বেড়েছে রবিবার। একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ জনের মৃত্যু নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৮ জন। এর আগে ১৭ এপ্রিল রেকর্ড ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে রবিবার দুপুরে এসব হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, দেশের ৩৬ টি ল্যাবে ৫,৭৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে রেকর্ড ৮৮৭ জনকে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তাতে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৫৭ জন। এর আগে এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ছিল ৭৮৬ জন, ৫ মে।
চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন ২৩৬ জন নিয়ে মোট আরোগ্য লাভ করেছেন ২,৬৫০ জন। দেশে করোনায় আক্রান্তে সুস্থতার হার ১৮.১০ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১.৫ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে গত ৮ মার্চ; এর দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করা ১৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ জন, নারী ৪ জন। মৃত চার নারীর মধ্যে ৩০-৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৬১-৭০ বছরের মধ্যে দুজন।
মৃত ১০ পুরুষের মধ্যে ৪১-৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে দুজন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং ৯১-১০০ বছরের মধ্যে একজন।
চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ১৬৯ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ৭১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২,১১৫ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১,১১৪ জন।
নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে এসেছে ২,২১৮ জন এবং ছাড় পেয়েছেন ২,৯৭৯ জন। এ পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৬২৩ জনকে; ছাড় পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ২০১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৬ হাজার ৪২২ জন।