দুর্দান্ত জার্মানির বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিল আর্জেন্টিনা
২২ মিনিট যেতে না যেতেই ২ গোল হজম করে বসল আর্জেন্টিনা। অথচ প্রতিপক্ষ জার্মানি নাকি চোটে জর্জরিত! অবশ্য আর্জেন্টিনা দলটাও তরুণ। নিষেধাজ্ঞার কারণে দলে ছিলেন না মেসি। ছিলেন না অভিজ্ঞ ডি মারিয়াও। অন্যদিকে তারুণ্যে আস্থা রেখেছেন জার্মান কোচ জোয়াকিম লো।
প্রথমার্ধে অগোছালো ফুটবল খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় আর্জেন্টাইনরা। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটিতে জার্মানির বিপক্ষে শেষতক আলারিওর নৈপুণ্যে ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। আলারিও প্রথম গোলটি করে ব্যবধান কমান। দ্বিতীয় গোলটি আসে লুকাস ওকাম্পোসের পা থেকে। দ্বিতীয় গোলেও অবদান ছিল আলারিওর।
চোটের কারণে জার্মান দলে ছিল না তাঁদের নিয়মিত খেলোয়াড়দের অনেকেই। ম্যাচের আগে এটা নিয়ে হতাশা ঝরে পড়েছিল জোয়াকিম লোর কণ্ঠে। খানিকটা চিন্তিতও কী ছিলেন না! তবে শিষ্যদের সাহস দিতেই হয়তো বলেছিলেন—এটা নতুনদের মেলে ধরার দারুণ সুযোগ। লোর এই কথাটিই ফলে গেছে শেষ পর্যন্ত। গুরুর আস্থার প্রতিদান দিয়েছে জার্মানির তরুণ তুর্কিরা। শুরু থেকেই আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরে জার্মানি। প্রথমার্ধে বলতে গেলে পাত্তাই পায়নি স্কালোনির শিষ্যরা।
ম্যাচের ১৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় জার্মানি। ডি বক্সের মধ্যে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডাররা ঘিরে ধরেছিল জিনাব্রিকে। সেখান থেকেই তাঁদের বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের এই খেলোয়াড়। চ্যাম্পিয়নস লিগে টটেনহামের বিপক্ষে এই জিনাব্রি একাই চার গোল করেছেন। ২২তম মিনিটে জার্মানির হয়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন হাভার্টজ। এই গোলেও অবদান ছিল জিনাব্রির। তাঁর বাড়ানো বলই জালে জড়িয়েছেন হাভার্টজ। প্রথমার্ধেই আরও অন্তত দুবার গোলবঞ্চিত হয় জার্মানি।
সীমানা পাল্টে দুই দল যখন মাঠে। তখন মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা রক্ষণাত্মক জার্মানি ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর্জেন্টাইনদের আক্রমণ সামলাতে। ঘুরে দাঁড়ানো আর্জেন্টিনা ব্যবধান কমায় ৬৬ মিনিট। সতীর্থ খেলোয়াড় আকুনার বাড়ানো বল হেডে জালে জড়ান আলারিও। মিনিট চারেক পরই সমতায় ফেরার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। এ যাত্রায় জার্মানিকে রক্ষা করেন টের স্টেগেন। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে আলারিওর গোলে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা।