তেলহীন বিশ্বে পতনের মুখে সৌদি অর্থনীতি

0

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) নিজেকে অনভিজ্ঞ দেখিয়ে আর পার পাবেন না। সেই সময় ফুরিয়ে গেছে। আর লুকিয়ে রাখার কিছু নেই। ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে অপশাসন, মারাত্মক গুরুতর সব ভুল আর যুদ্ধের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে গেছে। বাদশাহ হওয়ার পরও এই অধ্যায়গুলো তার পিছু ছাড়বে না।

রাষ্ট্রনেতা হিসেবে ক্রাউন প্রিন্স কেমন হবেন তার নমুনা কয়েকদিন আগেই দেখা গেছে। গত মাসে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক-এর সম্মেলন শুরুর প্রাক্বালে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন এমবিএস। ওই ঝড়ো ফোনালাপ বেশ তিক্তই ছিল বলা চলে। এরপর থেকেই বিশ্বের দুই শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে তেলের দাম নিয়ে ভয়াবহ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

সেই ফোনালাপ যে কত বড় ভুল ছিল তা আজ মোহাম্মদ বিন সালমান হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।


দুই দেশ প্রতিযোগিতা করে একে অপরকে টেক্কা দিতে তেলের দাম কমাতে শুরু করে। ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে ব্যাপকভাবে। তেল সংরক্ষণাগারে জায়গা ফুরিয়ে আসছে। তেল কোম্পানিগুলো উত্তোলন সীমিত করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
তেল ও গ্যাস খাত সৌদি আরবের জিডিপির প্রায় ৫০ শতাংশ ও রপ্তানি আয়ের ৭০ শতাংশ। তেলের দামের এমন ভয়াবহ দরপতনের ফলে এসব আয় যেন স্রেফ বাতাসে মিইয়ে গেছে।

পুতিনকে চেনেন এমন যে কেউই আপনাকে বলবেন যে, আপনি তার সঙ্গে যত খুশি দরকষাকষি করতে চান, করতে পারবেন। এমনকি আঞ্চলিক যুদ্ধে প্রতিপক্ষ হলেও তার খুব আপত্তি নেই; আপনি কাজ চালিয়ে যাওয়ার মতো সম্পর্ক তার সঙ্গে রাখতে পারবেন। সিরিয়া ও লিবিয়ায় প্রতিপক্ষ হয়েও তুরস্কের রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের সঙ্গে পুতিনের অম্লমধুর সম্পর্ক কিন্তু টিকে আছে।

কিন্তু আপনি পুতিনকে ব্যাকফুটে ফেলার চেষ্টা করতে পারবেন না। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ঠিক তাই করার চেষ্টা করেছেন। তিনি পুতিনকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এমনকি চড়া সুরে কথা বলেছেন। আর বিপরীতে পুতিন এই তেলের দামের দরপতন ঘটিয়ে তার জবাব দিয়েছেন। পুতিন জানেন যে, রাশিয়ার আয়ের উৎসে এক ধরণের ভারসাম্য আছে। ফলে এই জুয়া খেলার সামর্থ্য তিনি রাখেন। কিন্তু তেলের ওপর অতি নির্ভরশীল সৌদি আরবের সেই বিলাসিতা সাজে না।

এমবিএস এখন বুঝতে পারছেন এই জুয়া খেলায় তার কার্ডগুলো কত দুর্বল। পুতিনকে ফোন করার আগে এমবিএস এমন একজনের পরামর্শ নিয়েছেন যিনি তার মতোই অহংকারি আর হঠকারি। তিনি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও মধ্যপ্রাচ্য উপদেষ্টা জেয়ার্ড কুশনার। জেয়ার্ড কুশনারকে যখন এমবিএস আগেভাগে জানিয়ে রাখেন তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা, তখন কুশনার শুধু শুনেছেন, কোনো আপত্তি জানাননি।

এ কারণেই বোঝা যায় যে, তেলের দাম পড়ার খবর শুনে ট্রাম্প কেন প্রথমে স্বাগত জানিয়েছিলেন। ট্রাম্প ভেবেছিলেন যে, তেলের দাম যদি ১ সেন্টও কমে, তাহলে অন্য খাতে মানুষের ব্যয় করার সক্ষমতা বাড়বে ১ বিলিয়ন ডলার বেশি! কিন্তু তিনি যখন দেখতে পেলেন দরপতনের কারণে আমেরিকার নিজস্ব তেল শিল্প পথে বসার উপক্রম, তখন তিনিও বিরোধীতা করতে শুরু করেছেন।

অপরিশোধিত তেলের দাম এখন ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলারেরও কম। ফলে এমবিএস শিগগিরই বুঝতে পারবেন যে, দুনিয়ার যখন তার তেল আর প্রয়োজন হবে না, তখন কী হবে! একসময় এই প্রশ্ন করা হলেই পাত্তা দিতেন না সৌদি নেতারা। কিন্তু সেই দিন আর নেই। সৌদি আরবের ঋণগ্রস্ত দেশে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা এখন বেশ প্রবল!

সৌদি আরবের আর্থিক এই দুর্দশা একদিনে হয়নি। ২০১৫ সালে যখন বাদশাহ সালমান দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৭৩২০০ কোটি ডলার। আর গত বছরের ডিসেম্বর নাগাদ সেই অঙ্ক কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯০০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২৩৩০০ কোটি ডলার চার বছরে গায়েব হয়ে গেছে।

দেশের মাথাপিছু আয়ও কমেছে। ২০১২ সালে মানুষের আয় ছিল মাথাপিছু ২৫২৪৩ ডলার। আর ২০১৮ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২৩৩৩৪ ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব অনুযায়ী, সৌদি আরবের প্রকৃত ঋণের পরিমাণ এ বছর জিডিপির ১৯ শতাংশে দাঁড়াবে। আগামী বছর হবে জিডিপির ২৭ শতাংশ! আর করোনা ভাইরাস আর তেল সংকটের কারণে ২০২২ সালে ঋণ হবে সৌদি আরবের জিডিপির ৫০ শতাংশ!

এসবের কারণ কী? অগণিত। ইয়েমেন যুদ্ধ, মিশরের অভ্যুত্থান, আরব বিশ্বে অজস্র হস্তক্ষেপ, আমেরিকার কাছ থেকে বিপুল অংকের সমরাস্ত্র ক্রয়, নিওমে ভবিষ্যৎমুখী শহর নির্মানের মতো পোষ্য প্রকল্প ছাড়াও, এমবিএস-এর ৩টি অত্যন্ত বিলাসবহুল ইয়াট, পেইন্টিং, প্রাসাদ—এসবের প্রত্যেকটিই সৌদি রাজকোষকে একটু একটু করে সঙ্কোচিত করেছে।

করোনা ভাইরাস আসার আগ থেকেই সৌদি আরবের অর্থনীতি পর্যদুস্ত অবস্থায় ছিল। প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ০.৩ শতাংশ। ২০১৭ সালের পর নির্মান খাত হ্রাস পেয়েছে ২৫ শতাংশ। এবার করোনাভাইরাস জনিত লকডাউন যোগ করুন। হজ ও উমরাহও বাতিল করা হয়েছে। হজ ও উমরাহ পালন করতে বছরে ১ কোটি মানুষ সৌদি আরব সফর করতেন। ফলে এই খাতে ৮০০ কোটি ডলার আয় হতো দেশটির। এবার তা-ও হবে না।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স যেখানে টাকা খরচ করেছেন, সেটাই যে শুধু সমস্যা সৃষ্টি করেছে তা নয়। তিনি যেসব খাতে বিনিয়োগ করেছেন, সেগুলোও ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে।

তার বাজে বিনিয়োগের একটি উদাহরণ হলো স্বার্বভৌম বিনিয়োগ তহবিলের মূল্য হ্রাস। স্বার্বভৌম বিনিয়োগ তহবিলের দিক থেকে সৌদি আরবের তহবিলের অবস্থান এখন উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক ছোট রাষ্ট্রের কাতারে।

সৌদির প্রধান স্বার্বভৌম বিনিয়োগ তহবিল হলো পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বা পিআইএফ। এটির আকার এখন বিশ্বে ১১তম। সৌদি আরবের চেয়েও এগিয়ে আছে আবু ধাবি ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি, কুয়েত ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি ও কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি। প্রত্যেক দেশের সকল তহবিল একত্র করলে ১ নম্বরে আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাদের সকল স্বার্বভৌম তহবিলের পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার। এরপর কুয়েতের ৫২ হাজার কোটি ডলার। কাতারের ৩২.৮ হাজার কোটি ডলার। এরপর সৌদির ৩২ হাজার কোটি ডলার।

করোনা ভাইরাস মহামারি আসার আগে থেকেই আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে যে, সৌদি স্বার্বভৌম তহবিলকে ১ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত করলেও জাতীয় আয় যথেষ্ট হবে না, যদি তেল থেকে সরে আসে দেশটি। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে আইএমএফ লিখেছে, “সৌদি আরব যদি পিআইএফ-এর আকার ৩০ হাজার কোটি ডলার থেকে ১ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত করে, তাহলেও এ থেকে প্রাপ্ত আয় দিয়ে তেলবিহীন বিশ্বে চলতে পারবে না দেশটি। যদি প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৬৫ ডলার হয়, আর প্রতিদিন যদি ১ কোটি ব্যারেল তেল উৎপাদন করা হয়, তাহলে প্রত্যেক নাগরিকের আয় হবে ১১ হাজার ডলার।”

আরেকটি সমস্যা হলো এই তহবিল থেকে যেসব খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে, সেগুলোও বাজে অবস্থায় পড়েছে। জাপানের সফটব্যাংক-এর সিইও মাসায়োশি সন জানান, তার ১০ হাজার কোটি ডলারের ভিশন ফান্ডে ৪৫০০ কোটি ডলার একাই এসেছে সৌদি আরব থেকে। তিনি বলেন, এমবিএস’র সঙ্গে মাত্র ৪৫ মিনিট কথা বলে ৪৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে রাজি করিয়েছিলাম। অর্থাৎ মিনিট প্রতি ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার! গত সপ্তাহেই সফটব্যাংক জানিয়েছে, তাদের ভিশন ফান্ডে ১৬.৫ বিলিয়ন বা ১৬৫০ কোটি ডলার লোকসান হয়েছে।

২০১৭ সালে উবার টেকনোলজিসের প্রত্যেক শেয়ার ৪৯ ডলার করে কিনেছিল পিআইএফ। এরপর থেকেই উবারের শেয়ার তলানির দিকে যেতে থাকে। ২০১৯ সালের শেষের দিকে টেসলাতে থাকে পিআইএফ-এর ২০০ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়। এর ঠিক পরপরই টেসলার শেয়ার আকাশচুম্বী হতে থাকে! এই বছর শেয়ারের দাম ৮০ ভাগ বেড়েছে! সেই হিসেবে নিউক্যাসেল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব কেনাটা খুব ভয়াবহ কিছু মনে হচ্ছে না।

৪টি ইউরোপিয়ান তেল কোম্পানি ও কার্নিভাল ক্রুজ লাইনারে কয়েকদিন আগে ১০০ কোটি ডলার হারিয়েছে পিআইএফ। এর ২ সপ্তাহ না যেতেই তেলের দামে বিশাল ধস। পিআইএফ’র বিনিয়োগের এমন ভগ্নদশার কারণেই প্রশ্ন উঠছে সৌদি আরব আদৌ তেলের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে সরে আসতে পারবে কিনা। মধ্যপ্রাচ্যের এক শীর্ষ ব্যাংকার সম্প্রতি ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না, যখন সৌদি আরবের কাছে প্রত্যেক পয়সাই অতি মূল্যবান, তখন পিআইএফ কেন এমন করছে!” তিনি বলেন, “প্রথম বছরগুলোতে কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটিও এমন করতো। তারা একটা কৌশল ঠিক করেছে। কিন্তু সেই কৌশল তারা নিজেরাই মানছে না। তারা চায় প্রচার। আবার টাকাও বানাতে চায়। তারা অর্থনীতিতেও বৈচিত্র্য আনতে চায়। আবার চায় সুযোগসন্ধানী হতে!”

উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশ করোনার নেতিবাচক প্রভাব পুষিয়ে নিতে আর্থিক উদ্দীপনা প্যাকেজ তৈরি করছে। কিন্তু সৌদি আরবের এখন তেমন কিছু করার সামর্থ্য নেই। লকডাউনের মধ্যে অর্থনীতিকে সাহায্য করতে জিডিপির ১ শতাংশ ব্যয় করছে দেশটি। সেই তুলনায় বাহরাইন করছে ৩.৯ শতাংশ, আরব আমিরাত ১.৮ শতাংশ, কাতার ৫.৫ শতাংশ।

অনেক উদাহরণ আছে যে, অর্থ ক্রমেই নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাদশাহ ডিক্রি দিয়েছেন যে, রাষ্ট্র থেকে সবার ৬০ শতাংশ বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে। কিন্তু সৌদি আরবের বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানি এসটিসি’র কর্মচারিরা বলছেন, তারা মাত্র বেতনের ১০ শতাংশ পাচ্ছেন। কারণ, এসটিসি যেসব কর্মীকে ছাঁটাই করেছে, তাদের অর্থ সরকার দিচ্ছে না।

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হোটেল রিকুইজিশন করছে হাসপাতাল হিসেবে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বদলে স্রেফ হোটেল মালিকদের পরিচালনা ব্যয় দিচ্ছে সরকার।

সৌদি বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত বিপুল সংখ্যক মিশরীয় ডাক্তারের বেতন ভাতা কমে গেছে। যারা বার্ষিক ছুটিতে গেছেন তাদেরকে টাকাই দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক ডাক্তারকে বাসায় থাকতে বলা হচ্ছে। যারা বাসায় থাকবেন, তাদের সেই সময়টুকু হয় বার্ষিক ছুটি থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে, অথবা বেতনহীন থাকতে হচ্ছে!

এ কারণেই ব্লুমবার্গ প্রতিবেদন করেছিল যে, সৌদি আরবের ঋণগ্রস্ত দেশে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কখন ঘটবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।

আইএমএফ হিসাব করে দেখিয়েছে যে, তেলের দাম ৫০-৫৫ ডলারে নেমে গেলে, সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ২০২৪ সালের ৫ মাসের আমদানি ব্যায়ের সমান হয়ে যাবে। আর এখন তেলের দাম প্রায় শূন্যের কাছে। তার মানে একসময় যা চিন্তাও করা যেত না, সেদিকেই যাচ্ছে পরিস্থিতি।

দেশের আধুনিকায়নে মোহাম্মদ বিন সালমান যেই পরিকল্পনা করেছেন, তার দু’টি স্তম্ভই ধসে পড়ছে। রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর ৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে বিদেশী বিনিয়োগ আনার পরিকল্পনা একেবাইরে ভেস্তে গেছে। অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনার প্রধান মাধ্যম পিআইএফও এখন সংকটে পড়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের অনেকেই চাইবেন এমবিএস-এর পতন হোক। কারণ, তিনি এত মানুষের এত ক্ষতি করেছেন, বিশেষ করে মিশরে। সুতরাং, তেলবিহীন বিশ্বে এমবিএস’র ক্ষমতা হবে ক্ষীয়মান। এক মিনিটে যেই ব্যক্তিটি চোখের পলক না ফেলে ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করে ফেলতে পারে, সেই ব্যক্তির ওই ক্ষমতা আর থাকবে না।

কিন্তু সৌদি আরবের অর্থনিতি যদি ধসে পড়ে, তাহলে আশঙ্কা অনেক। সৌদির অর্থনীতি পুরো অঞ্চলের অর্থনীতির ইঞ্জিন। সেখানে কিছু হলে মিশর, সুদান, জর্দান, লেবানন, সিরিয়া থেকে তিউনেশিয়া—সর্বত্রই এর ছাপ পড়বে। এই দেশগুলো থেকে হাজার হাজার শ্রমিক ও পেশাজীবী সৌদি আরবে কাজ করে। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ওই দেশগুলোর অর্থনীতি রুষ্টপুষ্ট হয়েছে।

অতএব, সৌদি অর্থনীতির পতনের সম্ভাবনায় খুশি হওয়া উচিৎ নয় কারোই।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com