ভালো নেই কিম, জার্মান প্রশিক্ষিত ডাক্তার দিয়ে গোপনে চিকিৎসা!
কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন গুরুতর অসুস্থ। তার আরোগ্য কামনা করেছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও উত্তর কোরিয়া সরকার কিমের অসুস্থ হওয়ার কথা উড়িয়ে দিয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্র ওয়াইও নিউজ জানাল, হায়াং সান হাসপাতালে ভর্তি আছেন কিম। ওই হাসপাতালটি তার পরিবারের জন্য বিশেষভাবে বানানো হয়েছিল। সেখানে বিদেশ থেকে আনা মেশিনে উনকে গোপনে চিকিৎসা করছেন জার্মানি থেকে আসা ডাক্তার। খবর ওয়াইও নিউজ এর।
কিম জং উনের পিতামহ কিম ইল সুং ১৯৯৪ সালে মারা যান। সেই বছরেই রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে তৈরি হয় হায়াং সান হাসপাতাল। রাজধানী থেকে দূরে হাসপাতাল বানানোর একটাই কারণ। কিম মনে করেন, সেখানে গোপনীয়তা বজায় থাকবে। একটি সূত্রে খবর, ৩৬ বছরের কিম অত্যন্ত বেশি ধুমপান করতেন। খুব মোটা হয়ে গিয়েছিলেন। তার ওপরে অত্যধিক পরিশ্রম করতেন। সেজন্য তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে, যে চিকিৎসক কিমের অস্ত্রোপচার করেছেন, তিনি জার্মানিতে প্রশিক্ষিত। তাকেও গোপনে থাকতে হয়। কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী তাকে পাহারা দেয়।হায়াং সান হাসপাতালে চিকিৎসার যে সব যন্ত্রপাতি আছে তা জার্মানি ও জাপান থেকে আনা হয়েছে। একটি মার্কিন টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কিম। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার কুমসুসান রাজপ্রাসাদে কিম ইল সুং-এর ১০৮ বছরের জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। তখন কিমকে দেখা যায়নি। তখনই অনেকের সন্দেহ হয়, কিম কি অসুস্থ? উত্তর কোরিয়া থেকে যারা নানা কারণে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন, তারাই ডেলি এন কে সাইটটি চালান। তারা কিম সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করেন। তখন জানা যায়, কিমকে শেষবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল ১১ এপ্রিল। সেদিন শাসক ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর বৈঠকে তিনি সভাপতিত্ব করেন। সকলকে নির্দেশ দেন, উত্তর কোরিয়ায় যাতে করোনাভাইরাস না ছড়িয়ে পড়ে, সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা নিতে হবে।