রমজানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা ডব্লিউএইচওর
করোনাভাইরাসের বিস্তার রুখতে এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর এর ঝুঁকি কমাতে পবিত্র রমজান মাসেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ভার্চ্যুয়াল সাক্ষাৎ নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)
রমজান উপলক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, শারীরিক সংস্পর্শ এড়াতে হবে। এর অংশ হিসেবে হাত নাড়ানো বা মাথা নোয়ানো কিংবা বুকে হাত রেখে অভিবাদন জানানো যেতে পারে। অসুস্থ ও বয়স্ক লোকদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাঁদের কোনোভাবেই কোনো ধরনের জমায়েতে যাওয়া উচিত হবে না। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ডব্লিউএইচও জমায়েত এড়িয়ে চলতে বলেছে। জমায়েতের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল বিকল্প খুঁজে নিতে ইন্টারনেট, টেলিভিশন বা রেডিওর শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষ্য অনুযায়ী, এবারের রমজানে করোনাভাইরাস থেকে আত্মরক্ষার্থে বাড়িতে বাড়িতে ইফতারের দাওয়াত বা কোলাকুলির মতো বিষয় এড়াতে হবে।
আর রমজানে যদি বাইরে জমায়েত হয়ই, তাতে যেন অপেক্ষাকৃত কম মানুষ অংশ নেয়। জমায়েতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত বলে শনাক্ত হলে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা লোকদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে।
এ ছাড়া যাঁরা রোজা রাখবেন, তাঁদের প্রচুর পানি পান, টাটকা খাবার গ্রহণ এবং সুষম খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে পানিশূন্যতা হ্রাস ও সুস্থতা ধরে রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে রমজানে তারাবিহর নামাজ বাড়িতে পড়তে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল শেখ বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার অব্যাহত থাকলে পবিত্র রমজানের সময় তারাবিহর নামাজ বাড়িতে আদায় করা উচিত।
একই কারণে ঈদুল ফিতরের নামাজও বাড়িতে আদায় করা উচিত। সৌদি আরবের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এর আগেই বাড়িতে তারাবিহর নামাজ আদায়ের নির্দেশনাসংবলিত একটি ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশটির মসজিদগুলোয় জামাতে নামাজ আদায়ের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে