ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বাজিমাত

0

ভারতের ৬৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক দুই দিন আগে পাকিস্তান মাঝারিপাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র আবাবিলের সফল পরীক্ষা চালায়। এটি একই সঙ্গে বহু সংখ্যক পারমাণবিক ওয়্যারহেড বহনে সক্ষম। এটাই একমাত্র ক্ষেপনাস্ত্র যার মাল্টিপল ইনডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রিএন্ট্রি ভেহিকেল (এমআইআরভি) বহুসংখ্যক ওয়্যারহেড বহন করতে পারে।

পাকিস্তান বলছে এটা তার পারমাণবিক প্রতিরোধ জোরদার করবে এবং তার পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডারে টিকে থাকার একটি উপাদান যোগ হলো। ছুটে আসা ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষম একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছে ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান তার টিকে থাকা নিশ্চিত করতে আবাবিল মিসাইলের আকারে এমআইআরভি প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটায়।

সাধারণভাবে মনে করা হয় যে ভারতের ব্যালিস্টিক প্রতিরক্ষা সামর্থের বিষয়টি পাকিস্তান আগেভাগেই বুঝতে পেরেছিলো। তাই ২০০০ দশকের শেষ দিক থেকেই আবাবিল উন্নয়নে মনযোগী হয়। ২০১০ সালে বিবিসি’র এক খবরে বলা হয় যে এমআইআরভি প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য পাকিস্তানী প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়েছে চীন।

আবাবিল হলো তিন স্তরের সলিড ফুয়েল মিসাইল, যার প্রথম পরীক্ষা চালানো হয় ২০১৭ সালেল ২৪ জানুয়ারি। বালুচিস্তান প্রদেশের একটি ক্ষেত্র থেকে এই পরীক্ষা চালানো হয়। এক বিশ্লেষক বলেন যে এই ক্ষেপনাস্ত্র ৫০০ কিলোমিটার উপর দিয়ে ১১০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আঘাত হানতে পারবে।

এই মুহূর্তে পাকিস্তান ছাড়া স্বীকৃত ৫ পরমাণুশক্তির কাছে এমআইআরভি ভিত্তিক ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে। ভারত ও ইসরাইলও এই প্রযুক্তি উন্নয়নের চেষ্টা করছে বলে ধারণা করা হলেও এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পাকিস্তান আইএসপিআর জানায় যে ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স (বিএমডি) পরিবেশে পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক মিসাইলের টিকে থাকা নিশ্চিত করাই এমআইআরভি সক্ষম ক্ষেপনাস্ত্র উন্নয়নের লক্ষ্য।

এমআইআরভি প্রযুক্তি উন্নয়নের কারণে পাকিস্তান এখন যে কোন ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা ভেদ করতে সক্ষম। বিশেষ করে দেশীয়ভাবে ভারতের তৈরি বিএমডি ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে দিয়েছে পাকিস্তানের আবাবিল।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com