করোনায় স্বাস্থ্যকর ডায়েটের ৭ টিপস
বিশ্ব জুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাস জনিত কোভিড-১৯ রোগ ঠেকাতে লকডাউনে গোটা বিশ্ব। এমন অবস্থাতেও কিছু খাবার দাবার ও অভ্যাসে সুস্থ থাকার ৭টি উপায় বাতলে দিয়েছেন জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম- ডব্লিউএফপি’র পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা। এসবে করোনাভাইরাসের মহামারি পরিস্থিতিতে যেমন সুরক্ষা নিশ্চিত হবে, তেমনি নিশ্চিত হবে স্বাস্থ্যকর ডায়েট।
০১. পর্যাপ্ত পানি পান
আমাদের দেহযন্ত্রের প্রায় ৭৫ ভাগ পানি। সুস্থ থাকতে সাধারণত প্রতিদিন আট গ্লাস তরল পানের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতিতে সবার চলা ফেরা সীমিত হয়ে পড়ায় পানি তৃষ্ণাও তেমনটা বোধ হয় না। তাই বলে পানি পানে গা ছাড়া হলে চলবে না। পর্যাপ্ত পানি পানের বিষয়টি আপনাকে নিশ্চিত করতেই হবে।
পানিতে ফ্লেভার ও অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য আপনি কয়েক টুকরা শসা, লেবু বা কমলা যোগ করতে পারেন। এড়িয়ে চলতে হবে অতিরিক্ত চিনি থাকা কোমল ও সোডা জাতীয় পানীয়।
০২. গো ফুডস:
যেসব খাবার আমাদের চলাফেলা ও কর্মচঞ্চল থাকতে সহায়তা করে তাই গো (GO) ফুডস। চিন্তাভাবনা, কাজ করা এবং রোগ বালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়তে প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য এসব খাবার খুবই দরকার। এ জন্য বেছে নিতে পারেন ভাত, পাস্তা, রুটি ও মূল জাতীয় শস্য। এসব খাবারে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি পাওয়ার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত হবে ওজনও।
০৩. গ্রো ফুডস:
বিশেষ করে বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধির জন্য সহায়ক খাবারকে ‘গ্রো ফুড’ বলা হয়ে থাকে। তবে অসুস্থতায় পড়লে বা কোনো সংক্রমণের সময় আপনার শরীর পুনর্গঠনে সহায়ক হয় এসব খাবার। কম পরিমাণ দরকার হলেও প্রতিদিনই খেতে হবে ‘গ্রো ফুড’। এর ভালো উৎস মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, পনির ও দইসহ দুগ্ধ জাতীয় অন্যান্য খাবার।
০৪. গ্লো ফুডস:
এসব খাবারে থাকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। গ্লো ফুডে আপনার শরীরের কর্মশক্তি নিশ্চিত করে। অসুস্থতা ও বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার পাশাপাশি রাখে সুরক্ষিত রাখে ত্বক, চুল ও চোখ। ‘গ্লো ফুডস’ এর উৎস বিভিন্ন রঙিন ফল-ফলাদি ও শাক সবজি।
০৫. ফর্টিফাইড ফুডস ও সাপ্লিমেন্ট:
বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান মিশ্রণে তৈরি হয় ফর্টিফাইড ফুডস। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এসবেরও প্রয়োজন হতে পারে আপনার। কোনো কারণে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার না পেলে অথবা খাদ্য সংকটে পড়লে ফর্টিফাইড ফুডস বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
০৬. হালকা ব্যায়াম:
আতঙ্কজনক এই পরিস্থিতিতে হালকা শারীরিক ব্যায়ামের কথা ভুলে গেলে চলবে না! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও’র পরামর্শ প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ও বাচ্চাদের এক ঘণ্টা হালকা ব্যায়াম করতে হবে। পারলে হাঁটাহাঁটি বা দৌড়াতে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে। তা না পারলে অনলাইনে ব্যায়ামের ভিডিও দেখে গানের তালে তালে নাচানাচি করতে পারেন। ইয়োগা চর্চা করতে পারেন। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামা করতে পারেন।
০৭. খাওয়া যাবে না যেসব খাবার:
অতিরিক্ত চর্বি, চিনি ও লবণযুক্ত খাবারে কখনই স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট হয় না। করোনাভাইরাসের এই মুহূর্তে এসব খাবার বিশেষভাবে পরিহার করতে হবে। কেননা এসব খাবারে কোনো পুষ্টিগত উপকার নেই।