করোনায় করণীয়: যা খাবেন, যা খাবেন না
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি এ ভাইরাস। আঘাত হেনেছে বাংলাদেশে। করোনার কালো ছায়ায় পুরো বাংলাদেশে এখন অঘোষিত লকডাউন চলছে। এ পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা মেনে মানুষেরা ঘর নিয়েছে। জনগণকে ঘরে ফেরাতে ও সামাজিক সম্পর্ক থেকে দূরে রাখতে মাঠে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুরু থেকে খাবারদাবারের ওপর নানা বিধিনিষেধের কথা বলা হচ্ছে। এটা খেলে সংক্রমণ হবে না, ওটা খাওয়া যাবে না- এসব নিয়ে গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে হরদম। কিন্তু এতকিছু না ভেবে সবার আগে সতর্ক থাকতে হবে, থাকতে হবে পরিষ্কার ও যেকোনও কাজ করার পর সঙ্গে সঙ্গে হাত ধুতে হবে।
কিন্তু তাই বলে যে করোনা প্রতিরোধে খাবারদাবারের একেবারেই কোনও প্রভাব নেই তা বলা যাবে না। চলুন পাঠক একনজরে দেখে নিই, করোনা প্রতিরোধে যা খেতে হবে, যা খাওয়া যাবে না।
যেকোনও সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবারগুলো বেশি কার্যকরী হয়। যেমন-
বিটা ক্যারোটিন : উজ্জ্বল রংয়ের ফল, সবজি। যেমন গাজর, পালংশাক, আম, ডাল।
ভিটামিন এ : গাজর, পালংশাক, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়া, জাম্বুরা, ডিম, কলিজা, দুধজাতীয় খাবার।
ভিটামিন ই: কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, পেস্তাবাদাম, বাদাম তেল, বিচিজাতীয় ও ভেজিটেবল অয়েল, জলপাইয়ের আচার, সবুজ শাকসবজি।
ভিটামিন সি : আমলকী, লেবু, কমলা, সবুজ মরিচ, করলা।
সাধারণত উদ্ভিজ্জ খাবারগুলোই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সবচেয়ে ভালো উৎস। বিশেষত বেগুনি, নীল, কমলা ও হলুদ রংয়ের শাকসবজি ও ফল এই সময়ে বেশি বেশি খাওয়া প্রয়োজন। এগুলোর মধ্যে-
১. সবজি : করলা, লাল পাতা কপি, বিট, ব্রোকলি, গাজর, টমেটো, মিষ্টি আলু, ক্যাপসিকাম ও ফুলকপি।
২. শাক : যেকোনও শাকসবজিই উপকারী।
৩. ফল : কমলালেবু, পেঁপে, আঙুর, আম, কিউই, আনার, তরমুজ, বেরি, জলপাই, আনারস।
৪. মসলা : আদা, রসুন, হলুদ, দারুচিনি, গোলমরিচ।
এছাড়াও শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বিচিজাতীয় খাবার, লাল চাল, আটা, বাদাম, দই, গ্রিন টি, লাল চা, সামুদ্রিক মাছ, দুধ, ডিম, মুরগির মাংস বেশি করে খেতে হবে। মনে রাখতে হবে সব খাবারই অতিরিক্ত তাপে বা দীর্ঘ সময় সেদ্ধ করে খেতে হবে।
বিপরীতে নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কিছু দ্রব্য আছে যেগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এসব খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমানোর পাশাপাশি ফুসফুসে সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে কার্বনেটেড ড্রিংকস, বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, তামাক, সাদাপাতা, খয়ের, ঠান্ডা খাবার, আইসক্রিম, চিনি কিংবা চিনিযুক্ত খাবার যতদূর সম্ভব না খাওয়াই ভালো।