খালেদার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত বিএনপির
দুই বছরেরও বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর মুক্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পাঁচ-ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. হারুন-আল-রশিদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা বলবো উনাকে যেন বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ডা. হারুন-আল-রশিদ জানান, এখনও কোনো মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়নি। তবে পাঁচ থেকে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।
এর আগে বিকেল ৪টার পর কারান্তরীণ খালেদাকে মুক্তি দেয়া হলে তিনি ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে প্রাঙ্গণে রাখা গাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকে খালেদাকে বহনকারী গাড়ি ‘ফিরোজা’র উদ্দেশ্যে রওনা হয়। খালেদার সঙ্গে তার গৃহকর্মী ফাতেমাও বের হন। তবে ফাতেমা অন্য গাড়িতে করে বাসায় ফেরেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সরকারের পক্ষ থেকে খালেদার মুক্তির সিদ্ধান্ত জানানো হলে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। পরে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে গুলশানের ওই বাসায় পৌঁছান খালেদা জিয়া। গাড়ি থেকে নেমে আবারও হুইলচেয়ারে তাকে শয়নকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিকেল ৪টা থেকেই ফিরোজার সামনে ভীড় জমতে থাকে নেতাকর্মীরা। শাহবাগ থেকে গুলশান-২ ফিরোজা পর্যন্ত যাওয়ার সময় রাস্তার দুই পাশেই কিছুক্ষণ পরপর নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়া স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় গাড়ি থেকে হাত নাড়িয়ে সাড়া দেন খালেদা জিয়াও।
এর আগে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে খালেদা জিয়ার জন্য অপেক্ষা করেন ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং বোন বেগম সেলিনা ইসলাম ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীরা।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া যে উনাকে (খালেদ জিয়া) আমরা বাসায় নিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা বিশ্বাস করি তিনি এই ঘরোয়া পরিবেশে মানসিকভাবে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠবেন। ইনশাল্লাহ তাকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা হবে। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ম্যাডামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। আজকে তার নিজস্ব চিকিৎসকরা বসবেন এবং অন্যান্য বিষয়গুলো পরামর্শ করে দেখা হবে।