র্যাব- পুলিশের দালালি এবং এখন পুলিশ ও পিপিই ছাড়াই ডিউটিতে
কয়েকমাস যাবৎ সারা বিশ্বে মহামারী নিয়ে আলোচনা হচ্ছে , ঠিক তখন র্যাব- পুলিশের কর্মকর্তারা ভোটডাকাতি , লুটপাট , গায়েবি মামলা , বায়বীয় কাহিনীর মাধ্যমে জনগণকে নির্যাতন করার কাজে মহা ব্যস্ত।
এখন র্যাব- পুলিশের ঘুম ভেঙেছে। বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশেও দিনদিন বেড়ে চলেছে। মানুষের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্কও। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না চিকিৎসক ও নার্সরাও। আতঙ্কে রয়েছে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গতকাল এক চিকিৎসক ও দুই নার্স করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আতঙ্কের মধ্যেও মানুষকে সুরক্ষা দিতে সারাদেশে মাঠে থাকতে হচ্ছে চিকিৎসক, নার্স, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সারাদেশে পুলিশ সদস্যের সংখ্যা পৌনে ৩ লাখ। জনগণের সেবক হিসেবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই পুলিশ মাঠে থাকছে। বাড়তি সতর্কতার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশের মধ্যে করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষিত পোশাক পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্টের (পিপিই) ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিদেশফেরত প্রবাসীদের শনাক্ত করতে অথবা হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্য করতে অথবা করোনায় মৃতদের লাশ দাফন করার কার্যক্রমে থাকছে পুলিশ ও র্যাব।
র্যাব সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তার হওয়ার পর থেকেই অভিযান কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে এখনো পিপিই সবার কাছে নেই। র্যাবের বিভিন্ন ইউনিট ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু পিপিই সংগ্রহ করেছে। আরো পিপিই সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে।