আরও আগে সেনাবাহিনী নামানো উচিত ছিল: মির্জা ফখরুল
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আরও আগে সেনাবাহিনী নামানো উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের ছুটি ঘোষণা ও বিভাগীয়-জেলা পর্যায়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সরকারের গুরুত্ব দেয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও আমি মনে করি যে, তারা বুঝতে পেরেছেন।
অনলাইনে লাইভে সোমবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার সময় মির্জা ফখরুল এসব বলেন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া এড়াতে বিএনপি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সরকারের মন্ত্রীদের নানা ধরনের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা এমন এমন উক্তি করেছেন যা মানুষের এই আতঙ্কের মধ্যেও একটা উষ্মা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, এখনো সময় আছে। প্রত্যেকটি হাসপাতালে একেকটা টিম থাকা দরকার যে টিমের কাজ হবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার কাজটুকু করা। এ সময় দেশের ৬৩জন বিশিষ্ট নাগরিকের দেয়া যুক্ত বিবৃতির প্রতি সমর্থনও জানান তিনি।
খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আমাদের তরফ থেকে যতটা সম্ভব অথোরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে যেন সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ রাখা হয় তার জন্য কথা বলেছি এবং তারা আমাদেরকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে সেটা তারা করছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণের সময় সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা অমানবিক ও অনৈতিকও বটে। আমরা আশা করব যে, গণমাধ্যমের যারা মালিক ও ব্যবস্থাপনায় আছেন তারা এই বিষয়টাকে অবশ্যই বিবেচনা করবেন। করোনাভাইরাসের সংবাদ প্রকাশে জনসচেতনতায় গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন বিএনপি মহাসচিব।
এই সময়ে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন নসু ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তায় শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
বহুদলীয় গণতন্ত্র হত্যার দিন আজ-মির্জা ফখরুল
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। এদিন সামরিক ফরমান জারি করে শহীদ জিয়ার পুনরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। কেড়ে নেয়া হয়েছিল বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সকল নাগরিক স্বাধীনতা।