ওবায়দুল কাদেররা অসহায় হয়ে পড়ছে!

0

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলছেন, ‘আমরা করোনার চেয়েও বেশি শক্তিশালী। করোনাকে আমরা পরাজিত করবোই’। সারা দুনিয়া যেখানে করোনার আক্রমণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে, যেখানে ঢাল তলোয়ার বিহীন একমন্ত্রী প্রতিদিন প্রাণঘাতী করোনাকে হুমকি দিচ্ছেন। সারা দুনিয়ার মানুষ বলছে করোনা এটা দুনিয়ার মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত একটা গজব। মানুষ অপরাধের সব সীমা অতিক্রম করার কারণেই করোনা নামক ভাইরাস দিয়ে আল্লাহ মানুষকে দুনিয়ায় আযাব দিচ্ছেন। কিন্তু কাদের বার বার বলছেন, করোনার চেয়েও নাকি তাদের শক্তি অনেক বেশি।

কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে করোনার কাছে কাদের অসহায়। দিন দিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হচ্ছে। কাদেররা তখন নিরুপায় হয়ে পড়েছে। কারণ, ইতিমধ্যে দেশের প্রায় সবখানেই ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রকাশিত খবর অনুযায়ি এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৭ ও আক্রান্তের সংখ্যা ২৭। কিন্তু সাধারণ মানুষ বলছে এ সংখ্যা আরও বেশি হবে। সরকার করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা গোপন করছে। সম্প্রতি ইতালি প্রবাসী এক পুরুষ ও কানাডা প্রবাসী এক নারীর মধ্যে করোনা পজেটিভ পাওয়ার পর তাদেরকে ইনজেকশন পুশ মেরে ফেলা হয়েছে বলেও গুঞ্জন উঠেছে। তাদের স্বজনদেরকে বলা হয়েছে যে, তাদের অন্য সমস্যা ছিল। করোনায় মারা যায়নি। যদিও এখনো সত্যতা এখনো পাওয়া যায়নি।

এদিকে, করোনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় গত সপ্তাহে লকডাউন করা হয়েছে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা। রোববার করা হয়েছে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর। দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও কিছু বাড়িও লকডাউন করা হয়েছে।এছাড়া খোদ রাজধানীর মিরপুরে কমপক্ষে ৪০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কামরাঙ্গীরচর থানার সব দোকানপাট।

এদিকে আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশের শপিংমল, মার্কেট ও বড় বড় দোকান বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কিছু কিছু জেলার দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সব মিলিয়ে পুরো দেশ এখন করোনা আতঙ্ক কাঁপছে। বিশেষ করে মহানগর, জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে বেশি আতঙ্ক বিরাজ করছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে মানুষ যেন মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

সাঈদ খোকন রোববার জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞরাও বার বার বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন যে, বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধে প্রস্তুতি খুবই স্বল্প। সরকার যদি এখনি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারে তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকারের তেমন কোনো প্রস্তুতিও নেই।বিমানবন্দরে পরীক্ষা করার মতো ভাল থার্মাল স্ক্যানার নেই। করোনা টেস্টের জন্য পর্যাপ্ত কীট নেই। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, এই কঠিন সময়ে সরকার ডাক্তারদেরকে মাস্কও দিতে পারছে না। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। বলা যায়, করোনা পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে গেছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com