পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যাগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এখন থেকে নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করা হবে, আর কোনও ছাড় নেই। পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যাগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর কাওরান বাজারে স্বল্পমূল্যে পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ বাজারজাতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকার ভর্তুকি মূল্যে পাটের ব্যাগ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগ সফল করতে ভোক্তাদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
উপদেষ্টা বলেন, পলিথিনের বহুল ব্যবহার মাটি, পানি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি তৈরি করছে। বিপরীতে পাটের তৈরি ব্যাগ টেকসই, পুনঃব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব।
তিনি জানান, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে গৃহীত এ প্রকল্পের আওতায় টিসিবির ডিলার এবং বাজারের বণিক সমিতির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পাটের ব্যাগ বিক্রি করা হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে জনসাধারণকে পাটের ব্যাগ ব্যবহার ও পুনঃব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, মার্কেটিং, মান নিয়ন্ত্রণ এবং উৎপাদন খরচ কমানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বণিক সমিতি ও টিসিবি ডিলারদেরও প্রশিক্ষণ নেওয়া হবে। পাশাপাশি সভা, সেমিনার, কর্মশালা, সিম্পোজিয়াম এবং গণমাধ্যমে প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।
প্লাস্টিকের দূষণ থেকে সামগ্রিক আগ্রাসন কমাতে পাটের ব্যবহারের পরিসর বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, যারা প্লাস্টিকের ব্যাগ বানাতো, তারা পাটের ব্যাগ বানালে এই খাতে দ্বিগুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। উৎপাদকদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে পাশে থাকবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, বিলিয়ন ডলারের আমদানি করা প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প পাটের ব্যবহার বাড়ানো গেলে অর্থনীতির গতি বাড়বে। সামনের দিনে পাটের ব্যাগের পরিবর্তে প্লাস্টিকের ব্যাগ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।