নারীদের সংরক্ষিত ১০০ আসন রাখার বিষয়ে সবাই একমত: সালাহউদ্দিন
নারীদের সংরক্ষিত ১০০ আসন রাখার বিষয়ে সবাই একমত জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের দু’টি বিষয়ে সব দল একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেছেন, বিগত দিনের ধারাবাহিকতায় ৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সবাই দুইটা বিষয়ে একমত হয়েছে। সে দুইটা বিষয় হলো, আস্থা ভোট ও অর্থবিল। এই দুই বিষয় বাদে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশনের দুপুরের বিরতিতে এসব কথা জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরও কয়েকটি দল তার সঙ্গে সংবিধান সংশোধনী বিল যুক্ত করেছে। আমাদের আরেকটা অবস্থান আছে, আমরা লিখিত প্রস্তাবে দিয়েছিলাম জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় (যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো বিষয়) থাকলে সে ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা স্বাধীন থাকবেন না।
তিনি জানান, সিদ্ধান্ত হয়েছে— আস্থা ভোট ও অর্থ বিল জাতীয় সনদে উল্লেখ থাকবে। এখানে সবাই স্বাক্ষর থাকবে। বাকি দুই বিষয়ে সংযুক্ত থাকবে। আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত (ক্ষমতায় গেলে) হলে বাকি দুই বিষয় সেখানে সংযুক্ত করতে পারব।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, প্রিভিলেজ কমিটি, ইস্টিমেশন কমিটি, পাবলিক আন্ডার টেকিং কমিটিসহ আরও জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সভাপতির পদ আসনের ভিত্তিতে বিরোধী দলপ্রাপ্ত হবেন।’
তিনি আরও জানান, নারীদের সংরক্ষিত ১০০ আসন রাখার বিষয়ে সবাই একমত। এটা নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে। সেটা এখনো চলমান।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান সংবিধানে যে বিষয়টা আছে, রাষ্ট্রপতির হাতে সেই ক্ষমতা। রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দিতে পারেন। এখন বিদ্যমান যে অবস্থা, তাতে বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিককে প্রধান বিচারপতি বানিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা মনে করি, এটা থাকা ঠিক হবে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য এ বিষয়ে আমরা একটি রেস্ট্রিকশনে (বিধিনিষেধ) আসতে চাই। রাষ্ট্রপতিকে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, এই এই ক্রাইটেরিয়ার (বৈশিষ্ট্যের) ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন।’
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের ধারণার সঙ্গে আমরা একমত। এটি আমরা আমাদের প্রস্তাবিত ৩১ দফাতেও উল্লেখ করেছি। উচ্চকক্ষের আসনসংখ্যা ১০০ হবে। এটির নাম সিনেট নামকরণ করা হয়েছে, যদিও এটি এখনো ফাইনাল করা হয়নি। ১০০ আসনের বিষয়ে আমাদের প্রস্তাবের সঙ্গে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ও একমত। তবে কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের এ বিষয়ে আপত্তি আছে। তাদের সংখ্যা হয়তো বেশি নয়।’