গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফেরাতে হলে অবশ্যই জনগণের সরকার লাগবে: আমীর খসরু

0

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার বিষয়ে আগামী ২৩ মার্চ (রোববার) মতামত জমা দেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা। এ নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও অংশ নেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘বৈঠকে রাজনীতিসহ দেশের বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে কমিশন যে প্রচেষ্টা করছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি যে, সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেখানে সংস্কার হবে। আর যেখানে ঐকমত্য হবে না, সে বিষয়গুলো নিয়ে দলগুলো নির্বাচনের পরে জনগণের কাছে যাবে, পরে সংসদে আলোচনা হবে।’

নির্বাচন বিষয়ে দেশ এবং বিদেশে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে জানিয়ে খসরু বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফেরাতে হলে অবশ্যই জনগণের সরকার লাগবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই প্রয়োজনীয়তা বড় করে দেখা দিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে কথা বলেছি। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’

আমির খসরু বলেন, সবাই মনে করে জনগণের সমর্থিত একটা সরকার ও সংসদ থাকবে যেটা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা হলে দেশের অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সে জন্য আলোচনায় এই বিষয়টা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমির খসরু বলোন, সবাই তো ধরে নিয়েছে ডিসেম্বরে পরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। অনেকের মতে ডিসেম্বর অনেক দেরি, তারপর ডিসেম্বর শেষ সময় ধরে নিয়েছে। ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হলে আমরা সঠিক পথে থাকব, গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক সম্পর্ক এবং অবস্থান নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। রাজনীতি ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে যেটা আলোচনা হয়েছে, সেটা হলো আগামী নির্বাচন। সংস্কারের ব্যাপারে সবগুলো বিষয় নিয়ে যে ঐক্যমত কমিশন হয়েছিল সেগুলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, সংস্কারের ব্যাপারে যেসব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্যমত হবে সেগুলোকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। আর যেসব বিষয়ে দ্বিমত তৈরি হবে সেগুলা নিয়ে আগামী নির্বাচনে সবাই জনগণের কাছে নিয়ে যাবে। এরপর সংসদে আলোচনা, তর্ক বির্তক হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের রপ্তানির বড় জায়গা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে আগামী দিনে কী হবে, বিএনপির পরিকল্পনা কী, এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আগামী রোববার বিএনপির সংস্কারের প্রস্তাবের মতামত ঐক্যমত কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com