জনগণ সমর্থিত সংসদ সরকার ব্যতিত ‘সুষ্ঠু গণতন্ত্র’ ফিরিয়ে আনা যাবে না: খসরু
জনগণ সমর্থিত সংসদ সরকার ব্যতিত কোনো দিনও সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা যাবে না জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের জনগণ তাদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত করে সংসদ ও সরকার গঠন করে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়। একেকটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে, গণতন্ত্রহীন দেশ হিসেবে। যেখানে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই।
আমীর খসরু বলেন, জনগণের সমর্থনবিহীন কোনো দেশ সরকার, পুলিশ বা কোনো সরকারি কর্মকর্তা চালাতে পারে না। তাদের মূল শক্তি হচ্ছে জনগণের সমর্থিত একটি নির্বাচিত সরকার। এটাই মূলশক্তি। এটার ওপর ভিত্তি করে পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তারা চলে। তাই জনগণ সমর্থিত সংসদ সরকার ব্যতিত কোনো দিনও সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা যাবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশকে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডারের দিকে নিতে পারি সকলে মিলে সেভাবে কাজ করব।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষের মনোজগতে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে সেটাকে অনুধাবন করতে হবে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি, অনেক ত্যাগ জীবনের বিনিময়ে। এটা ধরে রাখতে হলে আমাদের আগামী দিনগুলোতে একটা কথা মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার পতনের পরে দেশের মানুষের মনোজগতে যে বিশাল একটা পরিবর্তন হয়েছে। সেটা আমাদের ধারণ, অনুধাবন করতে হবে। সেই প্রত্যাশার পূরণের জন্য যার যার জায়গা থেকে একটি মুক্ত বাংলাদেশ যাতে পাই, গণতান্ত্রিক দেশ যাতে পাই। ব্যবসা বাণিজ্য বা বিভিন্ন পেশা, সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পায়। একইসঙ্গে মেধানুযায়ী যাতে সবাই যেন সমান সুযোগ পায়, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
রাজনীতিতে সংস্কৃতি পরিবর্তন করার কথা উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, রাজনীতিতে সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। একে অপরের প্রতি সহনশীল, শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, সম্মানবোধ থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও একে অপরকে সম্মান জানানো এটা শিখতে হবে। তা না হলে শত সংস্কারেও কোনো লাভ হবে না। যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলানো না যায়, কোনো সংস্কার কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে যাতে নিজেদের মতো করে থাকতে পারি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পার্থক্য থাকবে, মতভেদ থাকবে, মতপার্থক্য থাকবে, এরপরও একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ থাকতে হবে।