স্বৈরাচারের দোসরদের দ্বারা এই সরকার পরিচালিত হচ্ছে: আনু মুহাম্মদ
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, অবিলম্বে জাতিসংঘের পানি আইনে অনুস্বাক্ষর, ডেল্টা প্ল্যানের পর্যালোচনা এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে নদী রক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) আয়োজিত বাংলাদেশের নদ-নদীর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস-২০২৫ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ধরার সদস্য সচিব শরিফ জামিল আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন।
ধরার সহ-আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমরা জানি নদী কারা দখল করেছে এবং এজন্য কী করতে হবে কাজ শুরু করার জন্য। সরকার এরই মধ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন করেছে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে। কিন্তু নদীর ক্ষেত্রে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে না। নয়তো গত ৮ মাসে কেন তারা জাতিসংঘের পানি আইনে অনুস্বাক্ষর করলো না। ১৯৯৭ সালে যখন জাতিসংঘ এই আইন করলো তখন সেই কমিটিতে বর্তমান সরকারের দুইজন উপদেষ্টা ছিলেন। তবুও কেন এখনও এটি হলো না? সরকার কেন দেরি করছে? তাহলে বুঝতে হবে স্বৈরাচারের দোসরদের দ্বারা এই সরকার পরিচালিত হচ্ছে।
নদী বিপন্নের কারণ হিসেবে তিনটি উৎসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী-এই তিনটি উৎস নদী বিপন্নের কারণ। তাই নদী রক্ষায় অবিলম্বে জাতিসংঘের পানি আইনে অনুস্বাক্ষর, ডেল্টা প্ল্যানের পর্যালোচনা এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে।
পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন পরিকল্পনায় প্রসারিত নদীকে সরু করা হচ্ছে, বিভিন্ন নদী বিনাশী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। দেশের মানুষের ক্যানসারসহ বিভিন্ন যে মরণঘাতি রোগ হচ্ছে এর জন্যও নদী দূষণ দায়ী, তিনি বলেন।