বাইডেনের প্রার্থীতা নিয়ে ন্যান্সি পেলোসি ও জর্জ ক্লুনি যা বললেন
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ধরাশায়ী হবার পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার সক্ষমতা ও বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠায় আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক চাপে রয়েছেন তিনি।
এবার নির্বাচনি দৌড় থেকে বাইডেনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তার সবচেয়ে বড় সমর্থকদের একজন হলিউড অভিনেতা এবং ডেমোক্র্যাটিক দলের শীর্ষ অর্থ সংগ্রাহক জর্জ ক্লুনি। খবর রয়টার্স।
বুধবার (১০ জুলাই) দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় মতামত বিভাগে এসব কথা লিখেন জর্জ ক্লুনি। মতামতে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট তার ক্যারিয়ারে অনেক লড়াইয়েই জিতেছেন। কিন্তু একটি লড়াইয়ে তিনি জিততে পারেননি। আর তা হচ্ছে সময়ের বিপরীতে লড়াই।‘
ক্লুনি আরও লেখেন, ‘আমি জো বাইডেনকে একজন সিনেটর, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভালোবাসি। আমি তাকে বন্ধুও মনে করি। তার ওপর আমার বিশ্বাস আছে।‘
কিন্তু গত ১৫ জুনের অর্থ সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তিনি যে বাইডেনকে দেখেছেন সে ২০১০ সালের বাইডেন, এমনকি ২০২০ সালের বাইডেনের মতোও ছিল না বলে ক্লুনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাইডেন হচ্ছেন সেই একই মানুষ যাকে আমরা সবাই নির্বাচনী বিতর্কে (২৭ জুন) দেখেছি। এটি বয়সের ব্যাপার। আমরা এই প্রেসিডেন্টকে নিয়ে নভেম্বরের নির্বাচনে জিততে পারব না।
এদিকে জর্জ ক্লুনির মতামতের কয়েক ঘণ্টা আগেই ঊর্ধ্বতন ডেমোক্র্যাট ও সাবেক হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও বাইডেনকে নির্বাচনে তার প্রার্থিতার বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়ার তাগাদা দিয়েছিলেন।
ন্যান্সি বলেন, প্রেসিডেন্ট সরে দাঁড়াবেন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার তার ব্যাপার। কিন্তু গত মাসের বিপর্যয়কর নির্বাচনী বিতর্কের পর আমরা তাকে প্রার্থিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলছি। কারণ, হাতে খুব বেশি সময় নেই।
এছাড়া মার্কিন সিনেটর পিটার ওয়েলচ বুধবার বাইডেনকে নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনিই প্রথম ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর যিনি স্পষ্টভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানালেন।