নিউইয়র্কে ‘অন্যায় কারাবন্দিত্বের ৭২৭ দিন’ শীর্ষক সমাবেশ
নিউইয়র্কে ‘দেশনেত্রী মুক্তি আন্দোলন পরিষদ’র ব্যানারে ‘অন্যায় কারাবন্দিত্বের ৭২৭ দিন’ শীর্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে পালকি চায়নিজ সেকশনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন হোস্ট সংগঠনের সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়া এবং পরিচালনা করেন সেক্রেটারি এম এ সবুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লিটা রহমান বলেছেন, মানবিক কারণেই অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি জরুরি। এটি একটি মানবিক ইস্যু। এজন্যে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে হয়ে তার মুক্তির আন্দোলনের জন্য, তার জীবন রক্ষার জন্য কিছু করা দরকার। বাংলাদেশ বর্তমানে দুর্নীতির শীর্ষে। মানবাধিকারের সবচেয়ে নিম্নে। আমরা পিছন দিকে হাঁটছি। পেছনে যেতে যেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক ড. শওকত আলী, বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির অন্যতম সদস্য আলী ইমাম, সাংবাদিক মঈনুদ্দিন নাসের, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা কাজী আজম, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য মোশারফ হোসেন সবুজ, সন্দ্বীপ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ও স্টেট বিএনপির নেতা আলহাজ্ব মাহফুজুল মাওলা নান্নু, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন, জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, সেক্রেটারি কাওসার আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি মোহাম্মদ সুরুজ্জামান, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম জনি, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মাকসুদ এইচ চৌধুরী এবং ওমর ফারুক।
আরাফাত রহমানস কোকো স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন রাজু কর্তৃক পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার সূচনা করেন ছাত্রদলের নেতা মাজহারুল ইসলাম জনি। তিনি বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে কারাগারে রাখার আজ ৭২৭ দিন অতিবাহিত হলো। ৮ ফেব্রুয়ারি দু’বছর পূর্ণ হবে। অথচ তার মুক্তি দাবিতে বাংলাদেশে একদিনের জন্যেও হরতাল ডাকা হয়নি। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ভোট চুরির প্রতিবাদে হরতাল ডেকেও মাঠে নেতারা নামেননি। ঘরে বসে আন্দোলনের হুমকি দিলে চলবে না। সকলকে মাঠে নামতে হবে।
এ সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি নাসিম আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, সুলতানা আহমেদ, তাহমিনা বেগম, শিল্পী আহমেদ, মঞ্জুর মোর্শেদ প্রমুখ।
অপর বক্তারাও খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ত্বরান্বিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানিয়েছেন। এই ঐক্য রচিত হতে হবে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে সকল পর্যায়ে।