ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে তীব্র থেকে তীব্রতর কর্মসূচি দেয়া হবে: রিজভী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ঢাকার দুই সিটির ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে তীব্র থেকে তীব্রতর কর্মসূচি দেয়ার কথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে রোববার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, অন্যায়, অবিচার, জনগণের সঙ্গে প্রতারণার পরিমাণ এত বেশি হয়ে গেছে যে এখন আমাদের তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন কর্মসূচি দিতে হবে। সেই আন্দোলনেরই একটা ধাপ হচ্ছে হরতাল।
হরতালের প্রাসঙ্গিকতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলে, ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট ডাকাতির একটা যন্ত্র। ইভিএম, ভোট ডাকাতিসহ সবকিছু মিলিয়ে যেভাবে দুই সিটির নির্বাচন সরকার ছিনতাই করেছে, তার বিরুদ্ধেই এ হরতাল।
সরকার টিকতে পারবে না এমন হুশিয়ারি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা যদি মনে করে এভাবেই দেশ চলবে সেটা কোনো দিন চলতে পারে না। ন্যায়ের জয় হবে, সব অন্যায়ের পতন হবে। সরকারের চলে যাওয়াটা কেমন হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
হরতাল সফল দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, চারদিকে গাড়িঘোড়া চলছে না। দোকানপাট বন্ধ আছে। জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে। জনগণ আমাদের ডাকা হরতালে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। এটাই আমাদের পাওয়া।
এসময় রিজভীর পাশে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, নিপুন রায় চৌধুরী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ কয়েকজন নেতাকর্মী।