প্রাসাদ ‘হারানো’ হ্যারি-মেগানকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের আমন্ত্রণ
কিছুদিন আগে রাজপ্রাসাদ থেকে একরকম তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলকে। সেই অবস্থান পরিবর্তন করে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে। চলতি বছরের মে মাসেই চার্লসের রাজ্যাভিষেক হতে যাচ্ছে। রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকলেও অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক হ্যারিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছিল, উইন্ডসর এস্টেটে ফ্রগমোর কটেজ থেকে নিজেদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হ্যারিকে। ২০১৮ সালে বিয়ের উপহার হিসেবে নবদম্পতি হ্যারি-মেগানকে এই কটেজ উপহার দিয়েছিলেন তৎকালীন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। হ্যারিকে সরিয়ে রাজকুমার অ্যান্ড্রুকে এই কটেজ দেওয়া হবে বলেই জানা গেছে। ফলে ব্রিটেনে বসবাসের জন্য হ্যারি ও মেগানের আর কোনো স্থায়ী বাসস্থান নেই।
তবে ফ্রগমোর কটেজ থেকে ‘বিতাড়িত’ হওয়ার পরও সস্ত্রীক হ্যারিকে একাধিকবার জনসমক্ষে খোশমেজাজেই দেখা গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতেই জানা গেল, ই-মেইল পাঠিয়ে রাজ্যাভিষেকের জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাজপরিবার। হ্যারি ও মেগান দুজনেই বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে ওই অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত থাকবেন কি না সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি হ্যারি-মেগান। প্রসঙ্গত, রাজ্যাভিষেকের দিনেই তাদের ছেলে আর্চির জন্মদিন।
যদিও রাজ্যাভিষেকের অনুষ্ঠানে হ্যারিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে রাজপরিবারে মতবিরোধ ছিল। নিজের আত্মজীবনীতে রাজপরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন হ্যারি। কতটা যন্ত্রণাময় ছিল রাজপুত্রের জীবন, সেই বর্ণনা জেনে রাজপরিবারকে কাঠগড়ায় তোলে ব্রিটেনের সাধারণ মানুষও। এমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।
জানা যায়, ছোট ভাই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন সেটা একেবারেই পছন্দ ছিল না প্রিন্স উইলিয়ামের। কিন্তু প্রথা মেনে হ্যারিকে আমন্ত্রণ জানানোর পক্ষে ছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস।সূত্র: ঢাকা পোস্ট